২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ভোলায় এক মেয়েকে ধর্ষনের পর অন্য মেয়েকে বাল্য বিবাহ করেছে বিজিবি সদস্য

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২১
ভোলায় এক মেয়েকে ধর্ষনের পর অন্য মেয়েকে বাল্য বিবাহ করেছে বিজিবি সদস্য

Sharing is caring!

ভোলায় এক মেয়েকে ধর্ষনের পর
অন্য মেয়েকে বাল্য বিবাহ করেছে বিজিবি সদস্য

জেলা প্রতিনিধি মিলি সিকদার ভোলা:  ভোলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর ১৬ বছরের অন্য এক স্কুল ছাত্রীকে কাবিন ছাড়া বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে আমোদ ফূর্তিতে লিপ্ত রয়েছে বাংলাদেশ বডার গার্ড (বিজিবি)র এক সদস্য। আদালতের মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আনোয়ার মোল্লার ছেলে বিজিবি সদস্য মোঃ আল আমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় একই এলাকার এক স্কুল ছাত্রীর সাথে। পরে আলআমিন মেয়েটি কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তার সাথে দৈহিক মিলন করে। পরবর্তিতে ভিক্টিম ও তার পরিবারের লোকজন আল আমিনকে বিয়ে করার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করলেও সে তাদেরকে অপমান অপদস্ত করে তাড়িয়ে দেয়। পরে ভিক্টিম কোন উপায়-অন্ত না পেয়ে বিয়ের দাবীতে আল আমিনকে আসামী করে ভোলা দ্বায়েরা জজ আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩৯৫/১৯। এ মামলায় আসামী আল আমিন দুই দুইবারে মোট সাড়ে চারমাস জেল খাটলেও কোন প্রকার পরিবর্তনে আনেনি নিজেকে। পরবর্তিতে এ বিষয়টি নিয়ে ভিক্টিমের পরিবার বিজিবি সদর দপ্তরে একাধিকবার প্রমানসহ অভিযোগ দাখিল করলেও বিজিবি কর্তৃপক্ষ আলআমিনের অব্যাহতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরবর্তিতে আল আমিন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সম্প্রতি ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের দিদারুল্লাহ ৫নং ওয়ার্ডের সেলিমের স্কুল পড়ু–য়া মেয়ে তৃষা মনি (১৬) কে বিয়ে করে। তৃষার স্কুল সার্টিফিকেটে তার বর্তমান বসয় মাত্র ১৬ বছর দেখা গেছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তৃষা মনিদের বাড়ি গেলে তারা বিয়ের কোন প্রকার কাবিননামা দেখাতে পারেনি। এ ব্যাপারে ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম, ওমর ফারুক, আমির হোসেন, সুলতান খা, আমেনা বিবি ও সেতারা বেগমসহ অনেকে জানান, বিজিবি সদস্য আল আমিন শুধু নারী কেলেংকারীতে জড়িত নয়। সে এলাকায় বিজিবির পাওয়ার প্রয়োগ করে একক ভাবে রাম রাজত্ব কায়েম করে আসছে। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে সে মিথ্যা মামলা ও প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে দমন করে রাখে। উল্লেখ্য ভিক্টিম আলা আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার কারণে সে ভিক্টিমের কাছের আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে এপর্যন্ত ডজন খানেক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় প্রতারক ও লম্পট আল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামানা করেণ, উল্লেখিত ভিক্টিম ও তার এলাকার সচেতন মহল।