২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গোয়াইনঘাটে যৌতুকের দায়ে দফায় দফায় স্ত্রী নির্যাতনকারী ঘাতক স্বামী গ্রেফতার।

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০২১
গোয়াইনঘাটে যৌতুকের দায়ে দফায় দফায় স্ত্রী নির্যাতনকারী ঘাতক স্বামী গ্রেফতার।

Sharing is caring!

গোয়াইনঘাটে যৌতুকের দায়ে দফায় দফায় স্ত্রী নির্যাতনকারী ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

শফিকুল ইসলাম গোয়াইন ঘাট প্রতিনিধিঃ-

সিলেটের গোয়াইনঘাটে যৌতুক,নারী,ও শিশু নির্যাতনকারী ঘাতক স্বামী আব্দুল আলী(২৫) কে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ।

অভিযুক্ত/গ্রেফতারকৃত আব্দুল আলী(২৫) উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত আলমনগর গ্রামের ইয়ার উদ্দিন (৫০)’র ছেলে।

এবং নির্যাতিতা স্ত্রী ইসমতারা (২২) একই সাকিনস্হ বড় বন্দ হাওরের আয়ুব আলীর মেয়ে।

ইসমতারা দম্পতির পাঁচবছরের সংসার।
সংসারের কর্তা/ঘাতক স্বামী দফায় দফায় তার স্ত্রী কে নির্যাতন করে যৌতুক আদায় করতো, এ নিয়ে সমাজে ৭/৮ বার সামাজিক বিচার বসে এবং বিচারের মিমাংসা সহ্ সাধ্যমত মেয়ের বাবা আয়ুব আলী কয়েকদফায় মেয়েকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছিলেন।
গত ০৪/০৮/২০২১ তারিখ দিবাগত রাতে স্বামী আব্দুল আলী তার স্ত্রী কে এক লক্ষ টাকা যৌতুক বাপের কাছ থেকে এনে দেওয়ার জন্য মানুষিক চাপ প্রয়োগ করে, স্ত্রী ইসমতারা যৌতুক আদায়ের সম্মতি না দিলে তখনি ঘাতক স্বামী উত্তেজিত হইয়া তাহাকে বেধড়ক এলোপাথাড়ি মারপিট করে নীলাফুলা জখম ও আহত করে ফেলে দেয় বাড়ির আঙ্গিনায়।
পরে ইসমতারার বাবা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

পরে ইসমতারার চিকিৎসার সাময়িক উন্নতি দেখা দিলে তার বাবা বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,
এবং অভিযোগের পরপরই অফিসার ইনচার্জ পরিমল দেব’র নির্দেশনায় এস.আই লিটন রায় এ.এস আই মারুফ সঙ্গীয় ফোর্স আসামি আব্দুল আলী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক পাঁচবছর পূর্বে ইসমতারার বিয়ে হয় একই সাকিনস্হ আলমনগর গ্রামের ইয়ার উদ্দিন(৫০)’র ছেলে আব্দুল আলীর সাথে,
আব্দুল আলী ও ইসমতারা দম্পতির সংসারে ৩বছরের একটা কন্যাসন্তানও রয়েছে।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল জানান,
যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে আমার সহযোগী অফিসার এ.এস আই মারুফ সহ্ সঙ্গীয় ফোর্সদের ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করি এবং অপরাধের সুরতহাল/চলমান আইন ও অপরাধের ধারা বিবরণীর,
১১(খ)/৩ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ সহ্ গ্রেফতারকৃত আসামী কে জেলা হাজতে প্রেরণ করি।