Sharing is caring!
কবিতাঃ
আমি নারী,আমি মানুষ
সুমাইয়া আক্তার শিখা
আমি নারী রক্তমাংসে গড়া আমি এক মানুষ, জগতে বিরাজ করি শতরূপে আমি,
শত্রুর চোখে আমি রক্তকরবী! শয়তানের কাছে কালি!
আমি অসুর নিধনকারী দুর্গা! আমি জন্মদাত্রী মাতা!
প্রেমিকের কাছে আমি প্রেয়সী! আমি ইচ্ছেপূরণ দাত্রী সন্তোষী!
কখনও আমি কল্যাণকারী সায়েন্সটিস্ট! আবার আমিই বিদ্যাদেবী সরস্বতী!
মায়ের কাছে আমি বকুল, বাবার কাছে আমি নয়নের মনি।
শৈশব কেটে যায় বইয়ের চাদরে মুখ গুঁজে,
মধ্যগগন কেটে যায় সংসার আর ছেলে মেয়ে লালন পালনে।
প্রাক্কালে শুধুই ভাবি এই ত সবে শেষের শুরু! ঘিরে ধরে উপলব্ধি;
জীবন একটি সুতোর রেখা, কতো পথ কতো রূপ ধরেছি আমি।
আমি ধন্য! আমি সম্পূর্ণ! খাবার টেবিল সাজিয়ে অপেক্ষায় থাকি স্বামীর,
সময় শুধু বদলে গেছে চিত্রপট রয়ে গেছে একই,
হাতে হাত রেখে মেয়ে ডাকে ‘রাত হয়েছে মা,
বাবা আছে বসে, চলো একসাথে খেতে বসি’।
আমার পথ চলা আদি থেকে শুরু,
সৃষ্টির বীজ বপন করি আমি,
প্রকৃতি সৃষ্ট আমার হাতে, আদিশক্তি রুপে পূজিত আমি।
আমার নাড়িতেই জন্ম নেয় ভ্রূণ, এই নাড়ি দিয়ে যোগাই অন্ন,
আত্মত্যাগের জন্ম নেয় জন্মের আগেই,
মমতার নাড়ি ছিঁড়ে দিই জন্ম।
আমি নারী, কখনও বালিকা, কখনও যুবতী, কখনও বধু, কখনও মাতৃ-রূপী-দেবী।
আমি শুধু নারী নয়,আমি মানুষ,
রক্তমাংসে গড়া আমি মানুষ, ভগবানের অপূর্ব সৃষ্টি,
কিভাবে দেখবেন দৃষ্টিভঙ্গিটা একান্ত আপনারই?