২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়া মিরপুরে হালসা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে ক্লিনিকের মালিক

admin
প্রকাশিত জুন ১০, ২০২১
কুষ্টিয়া মিরপুরে হালসা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে ক্লিনিকের মালিক

Sharing is caring!

কুষ্টিয়া মিরপুরে হালসা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে ক্লিনিকের মালিক

সুমাইয়া আক্তার শিখা স্টাফ রিপোর্টার :

ভুল চিকিৎসায় দেশের ক্লিনিক গুলোতে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ তার একমাত্র কারন এম,বি,বিএস ডাক্তার ও দক্ষ নার্স বিহীন চিকিৎসা দেওয়ার কারনে।

একজন এম,বি,বিএস ডাক্তার পরিচালনা করেন প্রতিদিন বিশ থেকে ত্রিশটি ক্লিনিক। ডাক্তার সাহেবের দায়িক্ত শুধুমাত্র রোগীদের সব ধরনের অপারেশন করা। তারপর বাকি কাজ করবে ক্লিনিকের অদক্ষ নার্স।

এসকল অদক্ষ নার্সদের নিন্মতম প্রশিক্ষণ নেই,শুধুমাত্র ডাক্তারের সাথে এবং ওই ক্লিনিকে থেকে রোগীদের ঔষধ দেয়ার জ্ঞান অর্জন করেছে।

বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে নার্সের কাজ করতে হলে নিন্মতম কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন ক্লিনিক মালিকদের জন্য প্রয়োজন হয়না। ক্লিনিকে এমনও অদক্ষ নার্স আছে যারা মাংস পেশির ইনজেকশন দেন শিরায়, আর শিরারটা দেন মাংস পেশিতে এমনই অভিযোগ সেখানে ভর্তি রোগীদের। ডাক্তার ও অদক্ষ নার্সের ভুল চিকিৎসায় অকালে ঝরে যায় অনেক প্রাণ আসলে এ দায় ভার কার?।

সরকার জনগণকে সঠিক সেবা প্রদান করার জন্য একটি নিতিমালা প্রণয়ন করেছেন। সেটি হল একটি ক্লিনিকে একজন এম,বি,বিএস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকবে সর্বক্ষণ। নবায়ন লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,নারকুটি লাইসেন্স,ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স।

এছাড়া ওটিতে থাকবে এসি, হাউড্রোলিক টেবিল সহ সার্জিকাল সকল যন্ত্রপাতি।
সরকারি নিতিমালা তোয়াক্কা না করে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা বাজারে অবৈধ ভাবে চলছে ক্লিনিকটি।সরকারি দলের পরিচয় দিয়ে ও স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, চালিয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক ব্যবসা। রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করছে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে শামীমুর রহমান শামীম ও ক্লিনিকের মালিক এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে হালসা বাজারে অবস্থিত ক্লিনিকে যেয়ে দেখা যায় এম,বি,বি,এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স ছাড়া এবং নবায়ন লাইসেন্স বিহীন চলছে ক্লিনিকটি।

সরকারি কোন নিয়ম নিতি না মানলেও ক্লিনিকটি প্রতি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

অবৈধ ভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তার শামীমুর রহমান শামীম বলেন, সরকারি সব নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হয়না। আমরা অনলাইনে আবেদন করেছি তার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডাক্তার,নার্স ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করিব।

নিজেদের লাভের জন্য জীবন নিয়ে খেলা করছে ক্লিনিক মালিক ডাক্তার ও নার্স বিহীন কিভাবে সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠান? এমনই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
অতিদ্রুত অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আমবাড়িয়া ইউনিয়ন বাসী।