Sharing is caring!
স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৯ বছর পরে স্বামীর ফাঁসি কার্যকর দিনাজপুর জেলা কারাগারে
মোঃ জসিম উদ্দিন; স্টাফ রিপোর্টার:
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আব্দুল হক নামে এক আসামির ১৯ বছর পরে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
দিনাজপুর জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আব্দুল হক রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এর আগে বিকালে নিহতের পরিবারের ১৫ সদস্য তার সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন এবং খাবার খাইয়ে ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে চলে যান। পরে রাতে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।
সে সময় রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ, চিকিৎসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আব্দুল হক তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তার শাশুড়ি বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(ক) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পাঁচ বছর পরে ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত আব্দুল হককে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে আব্দুল হকের পরিবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও সেখানে সাজা বহাল থাকে।
সর্বশেষ আব্দুল হক রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন।গত বছরের ১৮ মে মামলাটির যাবতীয় বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নামঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সেই হিসেবে রাজশাহী থেকে ওহিদুল ইসলাম নামের একজন জল্লাদের মাধ্যমে গতকাল দিবাগত রাতে আব্দুল হকের ফাঁসি কার্যকর হলো।