আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
চট্টগ্রামের শাহ আমানআন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২০০৩ সালে শুরু হয় কার্গো আমদানি। প্রবাসীরা তাদের প্রিয়জনদের জন্য নিত্য ব্যবহার্য নানা সামগ্রী পাঠান কার্গোর মাধ্যমে। জালিয়াতি, অবৈধ পন্থায় পণ্য প্রেরণসহ নানা কারণে বিদেশ থেকে পাঠানো অনেক পণ্য বিমানবন্দরের কার্গো হল থেকে খালাস হয়নি। ২০০৩ সাল থেকে এ ধরনের পণ্য জমতে জমতে পণ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০২ টন পণ্য।
এতে প্রবাসীদের কোটি কোটি টাকার পণ্য যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি সরকার হারিয়েছে রাজস্ব। অন্যদিকে বিমানবন্দরের কার্গো হলে দীর্ঘ বছর ধরে পড়ে থাকা এসব পণ্যে থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব পণ্যের গুদাম ভাড়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে । কার্গো ফ্লাইট শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। এরপর প্রবাসীরা গৃহস্থালীতে ব্যবহার্য নানা পণ্য কার্গো সুবিধায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পাঠাতে থাকে।
এ সুবিধার অপব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ওসব চালানে নিয়ে আসে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এয়ারফ্রেইট শাখা এসব পণ্য জব্দ করে। কার্গো ফ্লাইট শুরুর পর দীর্ঘ ১৬ বছরে নিলাম কিংবা ক্রাশ ( ধ্বংস) কর্মসূচি না নেওয়ায় কার্গো হলে পরিত্যক্ত পণ্য বাড়তে থাকে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ম্যানেজার কাজী খায়রুল কবির জানান, বিভিন্ন সময় জব্দকৃত প্রায় ১২০ টন কার্গো পণ্য বিমানবন্দরের কার্গো হলে পড়ে আছে। অনেক পণ্য নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব পণ্য ওয়্যার হাউজের এক তৃতীয়াংশ স্থান দখল করে আছে।
কাস্টম হাউজের এয়ারপোর্ট অ্যান্ড এয়ারফ্রেইট সূত্র জানায়, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থেকে একাধিকবার জব্দকৃত পণ্য নিলাম কিংবা ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। ওই সময় সিভিল এভিয়েশন ওসব পণ্যের গুদাম ভাড়া দাবি করার কারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় যাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, কার্গো হলের পরত্যিক্ত পণ্যের দুর্গন্ধের কারণে সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। প্রক্রিয়াগত করণে আটকে যাওয়া পণ্য খালাস দিতে না পারায় ওয়্যার হাউজেই নষ্ট হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার নাহিদ নওশাদ মুকুল বলেন,(৩আগস্ট) শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার বিমানবন্দরের কার্গো হল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জব্দকৃত কি পরিমাণ পণ্য রয়েছে তা ইনভেন্ট্রি করার নির্দেশ দেন। তার নিরিখে ৪ ইনভ্রেন্ট্রি টিম গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই নিলাম এবং নষ্ট হয়ে যওয়া ধ্বংস করার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.