Sharing is caring!
চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেছ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ আসামী গ্রেফতার।
ফকির হাসান :: অজ্ঞাতনামা খুনি চক্র একটি (১৩/১৪) বছরের অজ্ঞাত নামা এক কিশোরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ধার্য্য পদার্থ দিয়ে মুখ মন্ডল সহ শরীর ঝালিয়ে দেয় এবং গত ০৩/০৩/২০২১ ইং তারিখ গভীর রাত্রে ছাতক থানাধীন লাফার্জঘাটের দক্ষিন পার্শ্বে দক্ষিন বাগবাড়ী হাওরে লাশটি লোক চক্ষুর আড়ালে ফেলে রাখে।
উল্লখ্য যে গত ০৪/০৩/২০২১ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০টার সময় ছাতক থানাধীন দক্ষিন বাগবাড়ী সাকিনস্থ্য জনৈক হাজী বাবুল মিয়ার পতিত জমিতে বিকৃত করা লাশটি স্থানীয় জনগন দেখতে পেয়ে ছাতক থানায় খবর দেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেবের নির্দ্দেশে ছাতক এসআই মাসুদ রানা মৃত কিশোরের (লাশটির) সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষে লাশ পোষ্ট মডেমের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরন করেন। মৃত কিশোরের কোন পরিচয় , দাবিদার বা হত্যার কোন ক্লু না পাওয়ায় এসআই মাসুদ রানা নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ছাতক থানার মামলা নং-০৬ তারিখ-০৪/০৩/২০২১ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। উক্ত মামলার তদন্তভার এসআই আসাদুজ্জামান এর উপর অর্পন করেন।
এসআই আসাদুজ্জামান প্রায় দুইমাস তদন্ত করার পর ও মামলার কোন রহস্য উদঘাটন সহ মৃত কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করিতে না পারায় সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মিজানুর রহমান বিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মামলার পরবর্তী তদন্তভার ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর উপর অর্পন করেন ।
সুনামগঞ্জ জেলার সু-যোগ্য পুলিশ জনাব মিজানুর রহমান বিপিএম মহোদয় সহ ছাতক সার্কেল জনাব মোঃ বিল্লাল হোসেন , অফিসার ইনচার্জ জনাব নাজিম উদ্দিন সাহেবের দিক নির্দ্দেশনায়
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হাবিবির রহমান পিপিএম এক সপ্তাহের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করিতে সক্ষম হন এবং মৃত অজ্ঞাতনামা কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করিতে সক্ষম হন।
মৃত কিশোরের নাম সাব্বির হোসেন(১৩-১৪), বাড়ী মৌলবীবাজার জেলার জুড়ি থানা এলাকায়।
লাশটি প্রাপ্তীর স্থান হইতে অনুমান ১৫০গজ দুরে দক্ষিন বাগবাড়ী (লেবারপাড়া) সাকিনের আসামী তাজুল মিয়া @ খসরু মিয়ার বসতঘরের ভীতর কিশোর সাব্বির হোসেনকে নির্মম ভাবে হত্যা করায় এবং লাশ ধার্য পদার্থ দ্বারা পোড়াইয়া বিকৃত করা সহ লাশ ঘুম করার ঘটনায় জড়িত থাকায় ছাতক থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে সংগীয় এসআই উজ্জল মিয়া , এএসআই মোহাম্মদ আলী সহ ফোর্সের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামী ১! তাজুল মিযা @ খসরু (৫৫)পিতা- সাং- নরশিংপুর, থানা-দোয়ারা বাজার, বর্তমানে- দক্ষিন বাগবাড়ী (লেবার পাড়া), থানা-ছাতক, জেলা- সুনামগঞ্জ এবং তাহার স্ত্রী আসামী ২! সুফিয়া বেগম(৪৫) স্বামী- তাজুল মিয়া @ খসরু , সাং- নরশিংপুর, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা- সুনামগঞ্জ দ্বয়কে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হন। গ্রেফতারকৃত আসামী দুইজন মামলার ঘটনায় জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সহ দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করায় ছাতক থানা তথা সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশকে ছাতক বাসী ধন্যবাদ জানান।