Sharing is caring!
গোবিন্দগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে রং মিশ্রিত “লাচ্চা সেমাই” চলছে বিক্রির হিড়িক
মো: আ: রহমান শিপন, রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ-
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও মাহে রমজান উপলক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে চলছে কেনাকাটা ও সেমাই তৈরির হিরিক। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত লাচ্চা সেমাই তৈরী এবং বিক্রি করা হচ্ছে ছোট বড় সেমাই তৈরির কারখানা গুলোতে।
ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না থাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করছে লাচ্চা সেমাই ।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের কুন্জমালঞ্চা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শিবপুর ইউনিয়নের চকেন্দাহার গ্রামের বিপুল, রাজু, হরিরামপুর নাকাই বাজারের পাশে বাবলু, পৌরশহরের বটতলী, সোনারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে লাচ্চা তৈরীর কারখানা স্থাপন করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল উপকরণ দিয়ে তৈরি লাচ্ছা সেমাই তৈরি করে আসছে।
সেই সাথে লাচ্ছা সেমাইয়ে মিশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং। এছাড়া উপজেলার আরও ৫ -৭টি পয়েন্টে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে এবং পাম ও পোড়া তেলে ভেজে তৈরী করা হচ্ছে নিম্ন মানের লাচ্চা সেমাই। এসব লাচ্চা সেমাই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট বাজারে ও দোকানে ।
ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য খেয়ে লোকজন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর লাচ্চা তৈরীর খামির করার সময় হাত পায়ের কসরত, শরীরের ঘাম এমনকি লাচ্চা ভাজার সময় তেলের ঝাঁজে হাঁচি-কাশির ড্রপলেট তো আছেই।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মাজেদুল ইসলাম এর সহিত হলে তিনি বলেন, ভেজাল খাবার খেলে পেটের নানা পিড়াসহ রং মিশ্রিত খাবার খেলে ক্যান্সার এর মত জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ব্যপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ জানান, শীঘ্রই ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।