Sharing is caring!
সিলেটের শীর্ষ ছিনতাইকারী কালা শফিক আইনের চোখে পলাতক, ঈদকে টার্গেট করছে তার বাহিনী !
নিজস্ব প্রতিবেদক :- সিলেটের শীর্ষ ছিনতাইকারী কালা শফিক আইনের চোখে পলাতক হলেও ঈদকে টার্গেট করছে তার বাহিনী। সিলেট নগরীসহ আশপাশের এলাকায় প্রতিনিয়ত ছিনতাই রাহাজানি অব্যহত রেখেছে এই কালা শফিক বাহিনী।
এই চিহ্নিত ছিনতাইকারী কালা শফিক ৪ টি হত্যা মামলা, সেনা সদস্যর টাকা দিনদুপুরে ছিনতাইসহ ইয়াবার চালান নিয়ে হাতে নাতে গ্রেফতার হয়েও জেল থেকে জামিনে বাহির হয়ে আসে।
তাই প্রশ্ন জাগছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে অর্ধশত মামলার আসামি হয়ে দিবালোকে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তার অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
যার সর্বশেষ ছিনতাইটি ঘটেছে গত (২ মে) বন্দরবাজার কাস্টঘরের রাস্তার মুখ হইতে একজন পথচারির মোবাইল ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় ছিনতাইকারী কালা শফিক চক্র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর কাস্টঘর কেন্দ্রীক অপরাধ চক্র পরিচালনা করে এই চিহ্নিত কালা শফিক প্রতিটি ঘটনা ঘটিয়ে কিছুদিনের জন্য গা ডাকা দেয় আবার সুযোগ বুজে প্রকাশে চলে আসে।
তাই প্রশ্ন হচ্ছে এই কালা শফিকের শেল্টার দাতা কারা দীর্ঘদিন থেকে তার অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে মাঝে মধ্যে গ্রেফতার হলেও অল্পদিনের মধ্য জামিনে বেরিয়ে আসে। তাই এ সমস্ত অপরাধীদের জারা লালন পালন করে পর্দার আড়ালে থেকে ছিনতাই ও ইয়াবার ব্যবসার পরিচালনা করে ভাগবাটোয়ারা শেল্টার দাতাদের পকেটে ডুকার কারনের শফিকের মত একজন চিহ্নিত অপরাধী তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন থানায় সমপ্রতি বন্দরবাজার এক ব্যক্তির ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে এবং তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনে একটি মামলা হয় কোতয়ালি থানা মামলার নাম্বার ৭৬/২১ কিন্তু এই মামলাতে শফিক উরফে কালা শফিক এক নাম্বার আসামি তার আরো এক সহযোগী তীর ডালিম ও ইয়াবা মিজান।
কিন্তু শফিক ও তার সহযোগী ডালিমের সঠিক ঠিকানা পাওয়া যায় নাই সেই অজুহাতে তাদের কে মামলা থেকে অভ্যহতি প্রার্থনা করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে,
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে ৩৭০ পিস ইয়াবা সহ র্যাব ৯ গ্রেফতার করে যাহার মামলা নং-কোতয়ালি থানার ৯/২০। ওই মামলায় তার ঠিকানা উল্লেখ করে শফিক আহমদ (৩০), পিতাঃ রিয়াজ আহমদ, স্থায়ী টিকানাঃ গ্রাম নতুন জীবনপুর, ২ নং পুর্ব ইসলামপু উপজেলা, থানাঃ কোম্পানিগন্জ, বর্তমানেঃ শ্যামলী বাসা নং-১৬,শাহপরাণ (রহ.) থানা। শাহপরাণ (রহ.) থানার মামলা নং ৪/১৮ ইং ঘটনার তারিখে ৭/৫/২০১৮ ইং তারিখে মোরাদপুর পয়েন্ট হইতে ল্যান্স কর্পোরাল মোঃ মইনুল ইসলামের কাছ হইতে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় সেই মামলাতেও গ্রেফতার হয় এবং স্বীকারউক্তি প্রধান করে সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা তার নাম খোঁজে পেয়েছেন, শফিকুল ইসলাম শফিক উরফে কালা শফিক।
কালা শফিকের নামে শাহপরাণ (রহ.) থানার মামলার নং ৬ তারিখ ১১/১২/১২ খুনের মামলা ধারা ৪৪৮/৩০২/৩৪ এই মামলাটি সিলেটবাসীকে কাঁদিয়েছে, সে ছিলো জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের ছেলে এই হত্যা কাণ্ডটি ঘটেছে। ছিনতাইকারী কালা শফিককে অপকর্মে বাধা দেয়াশ তার নেতৃত্বে হত্যাকান্ড ঘটে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কিছু নিরপেক্ষ মানুষও ওই মামলায় আসামি হয় বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।
এছাড়াও দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা নং- ১১(১০)০৬ ধারা ৩০২/৩৪ এটিও হত্যা মামলা ও কোম্পানিগন্জ থানার জিডি নং- ১৪৬৮/তারিখ ২২/০৯/২০২০ এবং কোতয়ালি থানার মামলা নং- ৭৬ /২১ এটিও ছিনতাই মামলা।
এই আন্তঃনগর অপরাধী চিহ্নিত ছিনতাইকারী কালা শফিক টাকার বিনিময়ে এমন কোন অপরাধ নেই যা সে করতে পারেনা। প্রশাসন খোঁজ নিলে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মামলার তথ্য পাওয়া যাবে।
এই কালা শফিক ও তার বাহিনী সিলেট নগরীর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে চিটিয়ে রয়েছে। প্রতিদিন কোননা কোন স্থানে শফিক বাহিনীর ধারা অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে যাহা থানা পুলিশ জানতে পারছেন না। কারন কালা শফিক বাহিনী যাবার সময় নাকি বলে যায় পুলিশ নিয়ে জামেলা করলে আজ নিয়েছি টাকা পয়সা আর ধরলে জান নিয়ে নিবো। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতেও সাহস পায়না। সাক্ষীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার সাক্ষীরা জানান।
তাই প্রশ্ন হচ্ছে? অসংখ্য মামলার আসামি কালা শফিক, শফিকুল ইসলাম, শফিক খন্দকার ও তীর ডালিমকে কোতায়ালি থানায় আলোচিত একটি ছিনতাই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এই দুই অপরাধীর নাম ঠিকানা পাওায়া যায় নাই এই অজুহাতে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রার্থনা করেছেন। তাই এই তদন্তকারী কর্মকতা তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর না নিয়ে কিভাবে অভিযোগ পত্র দাখিল করলেন। যেখানে শফিক ও ডালিমের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।