Sharing is caring!
মহাস্থান মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি : মার্কেট গুলোতে উপচেপড়া ভিড়।
মোঃ জান্নাতুল নাঈম,বগুড়া-শিবগঞ্জঃ-
ঈদুল ভিতরকে সামনে রেখে ছেলে মেয়েদের ইচ্ছা পূরণ করছে পিতা মাতা। কেনাকাটা চলছে তাদের পছন্দ মত জামা কাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র।
করোনা মহামারীর ভীতরে ও থেমে নাই, ছেলে -মেয়ের শুশুর বাড়ি সেমাই দেয়ার প্রথা। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে করোনা মহামারীর ভিতরে যার যেমন অর্থ উপার্জন তা দিয়ে ছেলে- মেয়ের বাড়ি সেমাই দেয়া হচ্ছে।।।।।
ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায়, বছরে একবারি সেমাই চিনি দেয়া হয়। যদি ছেলে মেয়েদের বাড়িতে সেমাই চিনি না দেয়, তাহলে কি মনে করবে।। তাই এবার অল্প হলে ও দিচ্ছি।।।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না মহাস্থান বাজারে। বিভিন্ন দোকানপাট ও মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
কোনো রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গা-ঘ্যাঁসাঘেঁশি করে ভিড়ের মধ্যে পণ্য ক্রয় করছে ক্রেতারা। যে কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মহাস্থান সহ আশাপাশের গ্রামবাসী।
করোনা মহামারির মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও সেটা মানার মতো পরিস্থিতি নেই মহাস্থান বাজারের দোকানপাট ও মার্কেটগুলোতে।
মহাস্থান বাজরে জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের বিভিন্ন দোকান ও মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতি দেখলে মনেই হচ্ছে না দেশে করোনার মত মহামারি চলছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিস্থিতি এমন থাকলে করোনা পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারের দোকানপাট ও মার্কেটগুলো লোকে লোকারণ্য। প্রায় প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের ঠাসাঠাসি ভিড় ।
ক্রেতাদের সাথে কথা বললে, তারা বলেন ছেলে মেয়েদের আবদার মেটানোর জন্য, তারা মার্কেট করছে। তবে তারা বলছে আমাদের এই দিকে করোনার প্রভাব তেমন নাই। আল্লাহর রহমতে করোনা নামাক ভাইরাস ঠিক হয়ে যাবে।।।।
স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। ফলে কারোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে মহাস্থান বাসির।