২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যশোরের শার্শা ঈদউল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠছে সাতমাইল কোরবানির পশুর হাট ।

অভিযোগ
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০১৯
যশোরের শার্শা ঈদউল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠছে সাতমাইল কোরবানির পশুর হাট ।

 

মোঃ সবুজ মাহমুদ,(যশোর) জেলা প্রতিনিধি:
আর মাত্র কিছুদিন পরেই ঈদ-উল আযহা। দোর গোড়াউ কড়া নাড়ছে ঈদের বাড়তি আমেজ। এরই মধ্যে জমে উঠেছে যশোরের শার্শা ও বেনাপোলের কোরবানির পশুর হাট গুলো। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় গরু-ছাগলে জমজমাট এসব হাট। খামারিরা বলছেন, ভারতীয় গরু না আসলে এ বছর তারা ভালো দাম পাবেন। তবে, ঈদকে ঘিরে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকি থাকায় এবার পুষ্টিমান সম্পন্ন পশু পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু শার্শা উপজেলার প্রায় ১১শ খামারের গরু বিভিন্ন পশুর হাটে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। তবে, গো-খাদ্যের দাম না কমালে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে স্বাছন্দ বোধ করছেন ক্রেতারা। দেশিয় পশু খামারের বিস্তারে ভারতীয় গরু আনা বন্ধের দাবি তাদের। যশোরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে পশু খামিরা।
কুরবানির গবাদি পশুর দক্ষিণ বঙ্গের সবচেয়ে বড় বাজার যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। যেখান থেকে ঢাকা, রংপুর, চট্রগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা গরু ক্রয় করে থাকেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, খামার গুলোতে ক্ষতিকর ওষুধ দিয়ে মোটাতাজাকরণ বন্ধে তদারকি থাকায় এবার হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবান পশু পাওয়া যাবে। পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার খাইয়ে পশু গুলোকে তারা বড় করেছে, তারা কোনো অসাধু উপায় ব্যবহার করছেনা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, ভারতীয় গরু ছাগল না এলেও কোরবানির পশুহাটে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যশোরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৩টি পশু হাট রয়েছে। এর বাইরে ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরো ১১টি অস্থায়ী হাট গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশু হাট হচ্ছে বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাট। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তদারকির জন্য আমারা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আসা করছি এবার পুষ্টিমান সম্পন্ন পশু পাওয়া যাবে এসব পশু হাট থেকে। অধিক মুল্যে পশু কেনাবেচা করে লাভবান হবেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাটের সভাপতি ইয়াকুব আলী বিশ্বাস জানান, দেশের দক্ষিন অঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুহাট সাতমাইল অবস্থিত এ হাটের সকল প্রস্তুতির পরে স্থানীয় খামারিসহ ব্যাপারিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসছে। আশা করছি কোরবানির পশুর কোন সংকট হবেনা।
পশু হাটের সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল জানান, বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুহাটটি বর্তমানে পকেট মার, দালাল ও ছিনতাইকারী মুক্ত। ভারতীয় গরু না আসায় এ বছর দেশীয় খামারীরা অনেকটা লাভের মুখ দেখবে। আমার পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30