২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গোলাপগঞ্জে মন্দিরের সেবায়েত গ্রেফতার ষড়যন্ত্র নেপথ্যের নায়ক ‘সরওয়ার হোসেন’ এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ২৫, ২০২১
গোলাপগঞ্জে মন্দিরের সেবায়েত গ্রেফতার ষড়যন্ত্র নেপথ্যের নায়ক ‘সরওয়ার হোসেন’ এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

Sharing is caring!

গোলাপগঞ্জে মন্দিরের সেবায়েত গ্রেফতার ষড়যন্ত্র নেপথ্যের নায়ক ‘সরওয়ার হোসেন’ এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

 

গোলাপগঞ্জঃ- গোলাপগঞ্জের বাঘায় মন্দিরের সেবায়েত গ্রেফতারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কান্দিগ্রাম মন্দির প্রাঙ্গনে বিজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও কান্দিগাঁও মন্দিরের সভাপতি যিশু পাল ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা শান্ত দাশের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদ, বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব হরিপদ দেব, বিধান দেব, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি কাজল কান্তি দাস, গোলাপগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু রায়, বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি স্যাইয়াদ আহমদ সুহেদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা আর্জমন্দ আলী, সাহেদ চৌধুরী, বাঘা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহররম আলী,৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সেবুল আহমদ, সমাজসেবী আবুল কালাম।

বক্তারা মন্দিরের সেবায়েত ও দিপংকর দেব তপনের উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার কড়া হুশিয়ারি দেন।

অভিযোগ তুলে তারা বলেন, মন্দিরের সেবায়েত গ্রেফতার ষড়যন্ত্র ও মন্দিরের ভূমিদাতা দিপংকর দেব তপনকে মামলায় অভিযুক্ত করে কথিত ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগসহ নানা ঘটনার নেপথ্য নায়ক সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন।

ঘটনার পেছনে এই নেতা ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত রয়েছেন এবং তিনিই বাদীর পরিবারকে দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এর আগেও মামলা ও কারাভোগের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই নেতা। এমনকি গত ১৪ এপ্রিল দুপুর আড়াটায় মামলা দায়ের এবং বিকেল ৪টায় কোনওরুপ তদন্ত ছাড়াই বাজাররত অবস্থায় সাদা পোশাকে সেবায়েতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে।

তারা আরো বলেন, ১৯৭১সালে সারা বাংলার মানুষ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ডাকে একত্রিভূত হয়ে সেদিন স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর বহু মানুষ বহু দলে বিভাজিত হলেও আমরা (সনাতনীরা) এখনো নৌকা ছাড়িনি।

আর একারণেই আমরা বহুদল দ্বারা বহুভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছি। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ যদি আওয়ামীলীগের নেতাদের দ্বারা এমন ঘটনার শিকার হই তাহলে এ লজ্জা ঢাকবো কি দিয়ে। আমরা মরতে প্রস্তুত, প্রয়োজনে গণহারে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মাহোতি দেবো তবুও এ নেতার মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার।

সভায় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাহাউদ্দীন আহমদ, ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শিফাত আলী কালা, আওয়ামীলীগ নেতা কয়েস আহমদ, আব্দুল মজিদ, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নিরেন্দ্র দেবনাথ, সাধারন সম্পাদক রজত কান্তি দাস, হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি কাজল কান্তি দাস, সাধারণ লিপ্টন রঞ্জন রায় তালুকদার, বিশিষ্ট মুরব্বী মৈক্ষেন্দ্র দেব, রজত দেব, চপল পাল, নিরেশ বিশ্বাস,লিংকন দেব, শুভ দেব, ঝলক দেব, উজ্জ্বল দেব, সাধন দেব, বাবুল বিশ্বাস, বিষ্ণু দেব, টিপু দেব, প্রীতিজয় দেব প্রনব দেবসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মুরব্বীগণ উপস্থিত ছিলেন।