২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টাঙ্গাইলে একাডেমিক ডিগ্রি বিহীন দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছে শামীম আল মামুন

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ২২, ২০২১
টাঙ্গাইলে একাডেমিক ডিগ্রি বিহীন দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছে শামীম আল মামুন

Sharing is caring!

টাঙ্গাইলে একাডেমিক ডিগ্রি বিহীন দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছে শামীম আল মামুন

 

মোঃ মমিন হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে কালিহাতী উপজেলার বল্লা জামে মসজিদের সামনে খুলেছে দাঁতের চিকিৎসালয়। দাঁতের চিকিৎসার উপর নেই কোন একাডেমিক ডিগ্রি ও সনদ।

নেই লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স।প্যাথলজি বিভাগের সহকারী হয়েই ডেন্টাল কেয়ার খুলে দিচ্ছে দাতের চিকিৎসা।

অথচ নিয়ম অনুযায়ী দাতের চিকিৎসা করার জন্য একাডেমিক ভাবে বিডিএস ডাক্তার থাকতে হয়। কিন্তু বিডিএস ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছে পতিনিয়ত। এরপরেও ডিগ্রির তোয়াক্কা না করেই ডেন্টিস্ট পদবি ব্যবহার করে কয়েক বছর যাবৎ দিচ্ছেন দাঁতের চিকিৎসা।

এলাকাসূত্রে অভিযোগ উঠেছে, শামীম আল মামুন অনেক রোগীর খারাপ দাঁতের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ভালো দাঁত নষ্ট করে ফেলেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানিয়েছেন তথাকথিত এই শামীম আল মামুন কেবল মাত্র ডেন্টালের একজন ছাত্র।

ডিএমডিটি এর কোন সনদ নেই তার। তাছাড়া সিভিল সার্জন এর অনুমোদনের লাইসেন্স করা নেই তার এই ব্যবসায়ের, নেই ট্রেড লাইসেন্সও।

ভুক্তভোগী রহিমা, রতনগঞ্জের হাসমত, বল্লা রামপুরের কদ্দুস, গান্দিনার বৃদ্ধ আলাউদ্দিন সহ নাম না প্রকাশের অনইচ্ছুক প্রতিবেশি অনেকেই।

আরো বলেন এই ভুয়া চিকিৎসক রোগীর দাঁতের স্কেলিং, দাঁতের ফিলিং, দাঁত তোলা, দাঁত বাঁধানো, রোড ক্যেনেল সহ গুরুত্বপূর্ন রোগের নাম মাত্র চিকিৎসা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এই ডাক্তারের কাছে এসে রোগীরা না জেনেশুনে চিকিৎসা নিয়ে পরেছে নানা বিপাকে।

গোপনসূত্রের মাধ্যমে জানতে পারে শামীম আল মামুন নামে এই ডেন্টাল ডাক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ সনদ না পেয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

তার কাছে চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান। শামীম আল মামুন আরও বলেন আমি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য।

আমাকে নিয়ে মাথা ব্যাথা করবেন না। আমি চিকিৎসা করছি, চিকিৎসা করবো। এতে কেউ বাধাগস্থ করলে এবং আমার নামে কোন অপপ্রচার কারলে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো এমন হুমকি দেন সংবাদকর্মীদের।

বিভিন্ন সময়ে ০১৭৩৫-৭২১৮১২, ০১৯৪৪৭৫০৮১৬, ০১৬২৭৭২৫৭২৪ উক্ত নাম্বার গুলো থেকে মোবাইল ফোনে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করে এবং হুমকি দেয়। এই ধরনের সনদ বিহীন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ক্যন্সার সহ জটিল ও কঠিন রোগের আশংকা সম্ভাবনা রয়েছে।

ভুক্তভোগী রোগিরা অনেক ক্ষতিগস্থ হয়েছে।এই ধরনের ভুয়া ও অপচিকিৎসকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।