২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনের সময় এক শ্রমিকের মৃত্যু

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১৫, ২০২১
ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনের সময় এক শ্রমিকের মৃত্যু

Sharing is caring!

ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনের সময় এক শ্রমিকের মৃত্যু

 

ইব্রাহীম আলীঃ-

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে বাংকারে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে কালবৈশাখির কবলে পড়ে জহিরুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোর শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম সিলেটের জালালাবাদ থানার মানসিনগর (নোয়াগাঁও) গ্রামের মৃত ইউনূস আলীর ছেলে।

এদিকে, জহিরুলের মৃত্যুর পরপরই প্রশাসনের ভয়ে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় পাথরখেকো চক্র। তবে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জের উত্তর কলাবাড়ী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে রাসেল (৩২) ও পাড়ুয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে কেফায়েত (২৮) এবং তাদের সহযোগিরা দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জের রেলওয়ের বাংকার থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে। তাদের নির্দেশে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে কালবৈশাখির কবলে পড়ে জহিরুল ইসলাম নামের ওই কিশোর শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. নজরুল ইসলাম প্রতিবদেককে বলেন, ওই এলাকার বিভিন্ন গর্তে থাকা বালুর ভেতর থেকে কিছু শ্রমিক চিপ পাথর (ছোট পাথর) উত্তোলন করে। আজ ভোরে এভাবেই জহিরুল ইসলাম নামের ওই কিশোর পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে কালবৈশাখির কবলে পড়ে মৃত্যুরবরণ করে। পরে একটি চক্র লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেও পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাসেল ও কেফায়েত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।