২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

অস্তিত্ব সংকটে অর্থকারী-ভেষজ শিমুল

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৯, ২০২১
অস্তিত্ব সংকটে অর্থকারী-ভেষজ শিমুল

Sharing is caring!

“অস্তিত্ব সংকটে অর্থকারী-ভেষজ শিমুল”

খাদেমুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া (নাটোর):-

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিলুপ্ত হতে চলেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধনকারী শিমুল (তুলা গাছ) গাছ। বসন্ত এলেই প্রকৃতিপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে থাকে শিমুল ফুল। অন্য গাছের তুলনায় শিমুল গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় বহু দূর থেকে এ গাছটিক মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে।

কবির কল্পনা জগতকেও আলোড়িত করে এ গাছের সৌন্দর্য। গাছটি কেবল সৌন্দর্যই বিলায় না, শিমুল গাছে রয়েছে নানা উপকারিতা ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। প্রাকৃতিকভাবে তুলা আহরণের অন্যতম অবলম্বন শিমুল গাছ। এ গাছের সব অংশেরই রয়েছে ভেষজগুণ। আয়ুবেদিক চিকিৎসকরা এ গাছের বিলিন্ন অংশ ব্যবহার করে।

গাছগাছালির উপকারিতা নামক বইতে জানা যায়, শিমুল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ’বোমাবাক্স সাইবা লিন’। এটা বোমাবাকাসিয়াক পরিবারের উদ্ভিদ। বীজ ও কাণ্ডের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার হয়। রোপণের ৬-৭ বছরের মধ্যে শিমুল গাছে ফুল ফোটে। গাছটি ৮০ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে শিমুল গাছ দেড়শ’ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তের শুরুতেই গাছে ফুল ফোটে। আর এ ফুল থেকেই হয় ফল। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ফল পুষ্ট হয়। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে ফলগুলো পেকে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আপনা আপনিই ফল ফেটে প্রাকৃতিকভাবে বাতাসের সাথে উড়ে উড়ে দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া বীজ থেকেই এর জন্ম হয়। অন্যান্য গাছের মতো এ গাছ কেউ শখ করে লাগায় না। প্রাকৃতিকভাবেই এ গাছ বেড়ে ওঠে।

এ গাছের প্রায় সব অংশই কাজে লাগে। এর ছাল, পাতা ও ফুল গবাদি পশুর খুব প্রিয় খাদ্য। বালিশ, লেপ ও তোষক তৈরিতে শিমুল তুলার জুড়ি নেই। অথচ বর্তমান সময়ে মানুষ এ গাছকে তুচ্ছ মনে কওে কারণে অকারণে কেটে ফেরছে। অতীতে ব্যাপক হাওে নির্মাণ কাজ, টুথপিকসহ নানা ধরনের প্যাকিং বাক্সে তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় রোপণ করা হয়নি। ফলে আজ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার গালিমপুর (পারকুঠী) গ্রামের ১২১ বছর বয়সী নূর মুহাম্মদ সরকার জানান, আগে গ্রামে গ্রামে অনেক শিমুল গাছ ছিল। এ শিমুল ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষফোঁড়া ও কোষ্ঠকাঠিনা নিরাময়ে এ গাছের মূল ব্যবহার করত।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল বলেন, একটি বড় ধরনের গাছ থেকে তুলা বিক্রি করে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আগের তুলনায় এখন শিমুলের তুলার দাম অনেক বেড়ে গেছে। এখন এ গাছ নিধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

উপজেলার সচেতনমহল মনে করেন, প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় অন্যান্য গাছের সঙ্গে শিমুল গাছের চারাও রোপণ করতে হবে। এ গাছ রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা না নিলে এক সময় উপকারী গাছের তালিকা থেকে এ গাছটি হারিয়ে যাবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো জানতেও পারবে না বাংলাদেশে শিমুল নামের কোন গাছ ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা বন বিভাগের ফরেস্টার জাহেদুল ইসলাম বলেন, শিমুল গাছ পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধনকারী এবং উপকারী এ গাছ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন টে‌নিস কম‌প্লেক্স এর উ‌দ্বোধন করছেনঃ স্টাফ রিপোর্টার, শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু। গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উপ‌জেলা টে‌নিস কম‌প্লেক্স এর উ‌দ্বোধন করা হ‌য়ে‌ছে। মঙ্গলবার রা‌তে উপ‌জেলা টে‌নিস কম‌প্লেক্স এর শুভ উ‌দ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় ক‌মিশনার মোঃ জা‌কির হো‌সেন। এ সময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহীদ রসুল, পলাশবাড়ী উপ‌জেলা প‌রিষদ চেয়ারম‌্যান এ‌কেএম ম্কে‌ছেদ চৌ ধুরী বিদ‌্যুৎ, উপ‌জেলা নির্বাহী অ‌ফিসার কামরুল হাসান,পৌর মেয়র গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব, সহকারী কমিশনার ভুমি মাহমাদুল হাসান, থানার অফিসার ইনচার্জ আজমিরুজ্জামান ছাড়া বিভিন্ন দপ্ত‌রের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অফিস পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপন করেন।