১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীপুরে পরিষদের বরাদ্দকৃত ইটের সলিং রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায তিন শতাধিক মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০২১
শ্রীপুরে পরিষদের বরাদ্দকৃত ইটের সলিং রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায তিন শতাধিক মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন

Sharing is caring!

শ্রীপুরে পরিষদের বরাদ্দকৃত ইটের সলিং রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায তিন শতাধিক মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন

রাকিবুল হাসান, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকেঃ-

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কোশাদীয়া গ্রামের পরিষদের বরাদ্দকৃত ইটের সলিং এর নির্মানকৃত রাস্তা বন্ধ করে টিনের বেড়া নির্মান ও গরুর খামার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সরেজমিনে। এবং মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি মহোদয় ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল হক বাদল এর নিকট দরখাস্ত অনুসারে জানা যায় বরমী ইউনিয়নের কোশাদীয়া গ্রামে প্রায় ৩ থেকে ৪ শত মানুষের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গ্রামের অধিকাংশ লোক মৎস্য জীবি ও নিম্ন আয়ের লোক।নদীতে মাছ ধরাসহ মাছ বিক্রি এবং ছোট খাটো ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।কোশাদীয়া গ্রামের বরমী বাজার কালী বটগাছ সংলগ্ন হইতে বাম পাশ দিয়ে, রাস্তাটি অবস্থিত ব্রিটিশ আমল থেকে এই কাঁচা রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল, যা দিয়ে গ্রামবাসী দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া সহ কালি বটগাছ পূজামন্ডবে এবং ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে এবং বরমী বাজারে যাতায়াত করার প্রধান রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হত।

এ রাস্তাটি কোশাদীয়া গ্রামের অত্যান্ত প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বলে স্থানীয় সরকার কতৃক ইউপি অর্থায়নে রাস্তার ৭০ শতাংশ ইটের সলিং এর কাজ বিদ্যমান রয়েছে,বাকি ৩০ শতাংশ রাস্তার কাজ শুরু করলে একই গ্রামের রতীন্দ্র বর্মন উক্ত ৩০ শতাংশ রাস্তার একাংশের উপরে একটি অস্থায়ী মাচাঘর নির্মান করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।জানা যায় রতীন্দ্র বর্মনের ৬ ছেলে বর্তমানে ভারতে বসবাস করে এবং তাদের দখলকৃত বেশিরভাগ জমি বিক্রি করে ভারতে চলে যায়। উল্লেখ্য দেড় বছর পূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শামসুল হক বাদল ৫০০ মিটার রাস্তাটি করে দিয়ে যায়,বর্তমানে রতীন্দ্র বর্মনের ছেলে ফটিক বর্মন ও প্রদীপ বর্মনের বাধার কারণে দেড় বছর যাবৎ রাস্তাটি বন্ধ আছে।

এ বিষয়ে সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার রিপোর্টার্স রাকিবুল হাসান, জানতে চাইলে বরমী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই রাস্তা হলো আমার জন্মলগ্ন থেকে আমার বয়স চুয়াল্লিশ বছর ছোট বেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে দিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করেছি,এবং মূর্তি পুজা দেখতে যেতাম, আমি যখন ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছিলাম রাস্তাটি ওপেন ছিলো। রাস্তাটি করতে গেলে রতীন্দ্র বর্মণের ছেলেরা বাধা দিলে বাস্তার বাকি অংশের কাজ করতে পারি নাই। এমপি” মহোদয়ের কাছে ৩০০ শতাধিক লোকের সাক্ষর সহ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, উনি যদি অনুমতি দেন এলাকার কথা ভেবে,ইনশাআল্লাহ আমি রাস্তা বাঁধা ভেঙ্গে বাকি অংশের কাজ করে দিবো। ইনশাআল্লাহ এবং মিডিয়ার লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আপনারা সত্য তুলে ধরুন, জনগণের স্বার্থে আপনাদের পাশে আছি থাকবো,

এবং অভিযুক্তদের সাথে কথা বলে, তারা জানান বিপুল চন্দ্র বর্মন,ও জীবন চন্দ্র বর্মন, তাদের বাড়ীতে যাতায়াতের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও, আমার বসত বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে আমার জোত জমিতে অবস্থিত গরুর খামারের উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টার করছে, এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে খুবই উত্তেজিত ভাবে কথা বলেন, অভিযুক্তরা