Sharing is caring!
সুনামগঞ্জে ‘কিশোর গ্যাং’ প্রতিরোধে মাঠে গোয়েন্দারা: ফেসবুকে কড়া নজরদারি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের অলিতে গলিতে দিনের পর দিন আড্ডাবাজিতে সময় দিয়ে গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের ধরতে মাঠে নেমেছেন পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মকর্তারা। নানা রাজনৈতিক দলের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে ও বিভিন্ন এলাকার কথিত ভাইদের ছত্রছায়ায় থেকে উশৃংখ্যলতা প্রদর্শনকারি বখাটেদের গত সপ্তাহখানেক ধরেই নজরে রেখেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিট। এবার এলাকাভেদে তৈরী হয়েছে কিশোর অপরাধীদের তালিকা।
জেলা শহরের আরপিন নগর, হাসন নগর, ষোলঘর, জামতলা, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, ওয়েজখালী, লম্বাহাটি, সাহেববাড়ি, বাজার এলাকা থেকে শুরু করে জনবহুল এলাকাগুলোতে গড়ে ওঠা কিশোরগ্যাং এর উৎপাত বন্ধ করতেই এসব এলাকাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তালিকায়। প্রভাব খাটিয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে আধিপত্য দেখাতে বিশৃংখ্যলা সৃষ্টিকারিদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যম কে এই তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (বিপিএম) বলেন-
‘বিভিন্ন পাড়া মহল্লার সাধারণ মানুষের শান্তি শৃংখ্যলা নষ্ট করে যে কিছু কিশোর তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায় তাদের ক্ষমতা দেখানোর দিন শেষ, আমরা সুনামগঞ্জের এইসব উঠতি বখাটেদের ধরতে কাজ শুরু করেছি, যারাই এদের চেনেন তারা যেনো প্রয়োজনে পুলিশ সুপারকে ফনোকলে তাদের নাম-পরিচয় দিয়ে সহযোগিতা করেন।’
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান(বিপিএম) সংবাদ মাধ্যম কে আরও বলেন‘ শহরে সম্প্রতী কিশোর অনিক হত্যার বিষয়টিতে কাজ করছেন আমাদের সদস্যরা, অনেক তথ্য উপাত্য ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি, কাউকেই আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবোনা, পাড়া মহল্লায় যেসব কথিত ভাই রয়েছে তাদেরও ছাড় নেই, অপরাধীদের জায়গা অন্ততো এই সুনামগঞ্জ না, কিশোর বয়স থেকেই মাস্তানি বন্ধ করে দিতে আমরা পারি, তাই তালিকা করে এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে’।
পুলিশ সুপার আরও বলেন‘ যে সকল বখাটেরা ফেসবুকে মেয়েদের উত্যক্ত করছে তাদের নাম পরিচয়সহ আমাকে যদি ফোনে জানান তাহলে ভালো হয়, আমরা এখন থেকে ফেসবুকেও কড়া নজরদাড়ি জোরদার করেছি, যারাই ফেসবুকে অযথা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেবেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আমরা নিয়ে আসবো, কোন অপরাধীকেই পুলিশ ছাড় দেবেনা’।
এদিকে, কিশোর অপরাধ কমাতে নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মনিটরিং সেল কাজ করছে। স্থানীয়দের কাছথেকে তথ্য উপাত্য সংগ্রহের মাধমে তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। এর পরপরই চলবে উঠতি মাস্তানদের ধরতে অভিযান। এমনটিই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।