Sharing is caring!
তিলোত্তমা দিতিকে হারানোর পাঁচ বছর আজ
বিনোদন প্রতিবেদকঃ- কি চমৎকার করে হাসতেন। টোল পড়া গালে তিলোত্তমা অভিনেত্রীকে হাসলেই যেন অপ্সরীর মতো দেখাতো। সঙ্গে ছিলো সাবলীল অভিনয়ের ক্ষমতা। মাতিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ঢাকাই সিনেমার দর্শককে।
বলছি চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের নায়িকা পারভীন সুলতানা দিতির কথা। আজ দেখতে দেখতে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়ে গেল তিনি নেই। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দিতি।
চোখের দেখায় দিতি নেই। কিন্তু তিনি আছেন কোটি দর্শকের মনের ক্যানভাসে, ভালোবাসার ছবি হয়ে।
জানা গেল, আজ দিতির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢালিউড কাঁপানো দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি।
দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন।
সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিতি আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক সোহলে চৌধুরী। সেই সংসারে সাফায়েত নামের এক ছেলে ও লামিয়া নামের এক মেয়ে রয়েছে দিতির। এরপর চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। সেই সংসার খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
শেষ জীবনে নাটক নির্মাণে নাম লেখান দিতি। নাটকের অভিনয়েও নিয়মিত ছিলেন। কিন্তু অকাল মৃত্যু তাকে নিয়ে গেল পৃথিবীর বাইরে। যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকবেন প্রিয় অভিনেত্রী এই প্রত্যাশা তার কোটি কোটি ভক্তের।