Sharing is caring!
সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে রোডে টোকেন বানিজ্যের শেষ কোথায় পর্ব – (১)
সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ-
টোকেনের আরেক নাম কুদ্দুস টোকেন।
দেদারছে চলছে চাঁদা আদায় বাণিজ্য আর দালালি।
এই চাঁদাবাজদের কারনে সিলেট-তামাবিল হাওয়ে রোড’র অনটেষ্ট সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা এখন চরম বিপাকে।
জৈন্তা,গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট তিনটি উপজেলার টোকেন বাণিজ্যের মূল কারিগর তারা।
টোকন কুদ্দুস হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু হাদপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র, ইয়াহিয়া হরিপুর বাজারের সিএনজি অটোরিক্সা ৭০৭ শাখার বর্তমান সভাপতি ও হরিপুর বাজারের বিশিষ্ট চোরাচালান কারবারির গডফাদার এবং একাধিক চোরাচালান মামলার আসামী।
দীর্ঘদিন থেকে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু জাতীয়-স্থানীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেলসহ অনলাইন নিউজপোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখনও তারা আইনের ধরাচোয়ার বাইরে।
এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে সিলেট-তামাবিল রোডে চাঁদা আদায় বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকায় তাদেরকে সকলেই ‘পুলিশ টোকেন’র মালিক হিসেবে চিনে। থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের অতি কাছের লোক এই ৩ চাঁদাবাজ।
জানা গেছে, হাজার-দেড়হাজার অনটেষ্ট সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে মাসে অন্তত (৮ লাখ) টাকারও বেশি উর্পাজন হয় তাদের।
প্রতি সিএনজি ফোরষ্ট্রোক হতে টোকেন প্রতি হাতিয়ে নেয়া হয় ৫-৭শ’ টাকা হারে। যে চালক তাদের টোকেন ব্যবহার করবেনা তাদের কপালে জুটে মামলা, হামলা, না হয় শাহ পরান থানা পুলিশের হাতে আটক।
এভাবে তারা প্রচুর অর্থ ও বেশ কয়েকটি গাড়ির মালিক বনে গেছে।
এদিকে কুদ্দুস সিলেট নগরীর ট্রাফিক পুলিশ ও শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে থাকে। জেলা পর্যায়ে কুদ্দুস আর এসএমপি পর্যায়ে ইয়াহিয়া।
রাতভোর পর্যন্ত তাদেরকে কখনও বটেশ্বর বাজার, পীরের বাজার, সুরমা গেইট পয়েন্ট ও থানা-পুলিশ ফাঁড়িতে দেখা যায়।
এমন কোন পুলিশ সদস্য নেই রাতের ডিউটিতে গেলে তাদের সাথে বসে নাস্তা করেন না। তবে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপারটি তারা গোপনে ছেড়ে ফেলে।
ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট এই মাসোহারা চাঁদা আদায় করতেন কিন্তু বর্তমানে তিনি এমন কিছু অভিযোগের কারণে সিলেটের বাহিরে বদলি হয়ে গেছেন।
এবং বর্তমানে এসএম পি’র পুলিশ কমিশনার জনাব নিশারুল আরিফ সাহেব যোগদানের পর থেকে যে অভিযান শুরু হয়েছিল। এর পর থেকে তারা ট্রাফিক পুলিশ কে এমন ভাবে ম্যানেজ করে চলতেছে, যেমন টিলাগড় পয়েন্টে ও শাহ পরান মাজার গেইটে পয়েন্ট গুলোতে ট্রাফিক পুলিশের যারা ডিউটি করেন তাদেরকে প্রতিদিন নগদ ১৫০০-২০০০ টাকা দিয়ে নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা গুলো চালতে হচ্ছে।
এমনো অভিযোগ রয়েছে সেই তিনটি উপজেলার প্রত্যেকটি থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের টেবিলে মাসোহারা চাঁদা পৌছে দেয় এই চক্র।
এদের সাথে জড়িত রয়েছে কানাইঘাট উপজেলার ব্রাহ্মণ গ্রামের এক সময়ের সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও গাঁজা পতিতা ব্যবসায়ি এবং কখনো ট্রাফিক পুলিশের রেকার টু এর ড্রাইভার এই মাসুক আহমদ, আজাদ সহ কিছু ভূঁইইফোড় সংবাদকর্মী পরিচয়ধানকারী একাধিক ব্যক্তিরা রয়েছেন।
এতে লক্ষ্য নেই বিআরটি এর কতৃপক্ষেরও।
লাইসেন্স বিহীন চালক,মালিকানা নিবন্ধন, ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই চালিয়ে দিচ্ছে এসব মোটরযান। তাও গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি টোকেন। প্রশাসনের এমন কর্মকান্ডে দিশেহারা সচেতন মহল।
কারন এমনিতেই হাইওয়ে রোডে এসব যানবাহন চলাচলেও রয়েছে বিধি-নিষেধ। কিন্তু কেউ কারো কথা কর্ণপাত করছে না। প্রশাসনিক তৎপড়তার দুর্বলতার কারনে চাঁদা আদায় বাণিজ্য মহামারী রুপ ধারণ করছে! অথচ তাদের কোন বক্তব্য নিতে গেলেই বরাবরের মতো চক্রটি চাঁদাবাজির বিষয় এড়িয়ে যায়।
এই নিউজ চলমান………