‘নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘এ দেশের নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে বাংলাদেশে উত্তরণ ঘটবে। বিনির্মাণ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। বাস্তবায়িত হবে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০। মুজিববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী (আজ) ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮ মার্চ নারী আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আর মজুরি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নারী আদায় করেছিল তার অধিকার। আদায় করেছিল বিশ্ব সমীহ। নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সমঅংশীদারিত্ব। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য—‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’—অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। তিনি জাতীয় জীবনের সকলক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ আজ নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা গ্রহণ করেছি নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে নারীর দারিদ্র্য। জাতীয় অর্থনীতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীর অংশগ্রহণ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নির্বিঘ্নে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। দেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় রয়েছে কঠোর আইন এবং আইনের প্রয়োগ। আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা, রাজনীতি, কূটনীতি, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়, অর্থনীতি, সাংবাদিকতা, তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য, খেলাধুলা প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও রয়েছে এদেশের নারীদের ব্যাপক পরিচিতি। চিকিৎসা, রাজনীতি, মানবাধিকার রক্ষা, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন, খেলাধুলা, এভারেস্ট বিজয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদেশের মেয়েরা অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মাননা।
স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণসহ চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে জোরালো পদক্ষেপ এবং নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করছে। আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জ, শিক্ষায় লিঙ্গসমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর ‘শান্তিবৃক্ষ’ এবং গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ। প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯ ইমেইল: abhijug@gmail.com
Copyright © 2025 Weekly Abhijug. All rights reserved.