Sharing is caring!
–
আজকে আমরা যে দেশটাকে পেয়েছি, যেখানে বাস করছি তা কি আমরা এমনিতেই পেয়েছি? এই দেশটাকে পাবার পিছনে আছে স্বার্থহীন মানুষের গল্প। চলুন আজকে আমি আপনাদেরকে স্বার্থহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীনের গল্প বলি– জালাল উদ্দীন মুক্তি যুদ্ধে অংশ নিলেও কোনো সনদ গ্রহন করেননি তিনি। ভাল চাকরি পাওয়া পর ও তিনি তা না করে সমাজের পিছিয়ে পরা ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান।আর তিনি তার এ কাজটি রাজশাহীতে করে আসছেন ৩৮ বছর ধরে। এমনকি সমাজের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের সাহায্য করতে গিয়ে নিজের সংসার ও পাতেননি তিনি। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রয় করে যা অর্থ তিনি পেয়েছেন তা ব্যয় করেছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের পিছনে। কিন্তু আজকে তিনি অসহায়। কিছু দিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন হাসপাতালে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে উঠেছিলেন আবাসিক হোটেলে। গত শুক্রবার অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি উঠেছেন রাজশাহী প্রেসক্লাবে। বর্তমানে তাঁর কোনো জায়গা জমি নেই। রাজশাহী নগরের রানি বাজার এলাকায় বোনের বাসায় থাকতেন স্বার্থহীন মানুষটি। এই স্বার্থহীন মানুষটিকে কি না পাবার বঞ্চনা নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে? সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। উনার জন্য যে সু ব্যবস্হা করা হয়।যাতে করে সমাজ ও রাষ্ট্র যেন কিছুটা দায় মুক্ত হতে পারে। লেখক : মোঃ মনির হোসেন। সহকারী শিক্ষক ভীমখালি উচ্চ বিদ্যালয়