Sharing is caring!
মোহাম্মদ জাকারিয়া ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃজাহিদ ফারুক।
এ সময় উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামে আয়োজিত এক সভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন,
যে সমস্ত এলাকায় নদীভাঙন আছে, সেখানে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ভাঙন রোধ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। তাই আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। আজকে অামি বলে গেলাম,তাই বলে কালকে থেকেই কাজ শুরু হবে না! আমাদেরকে সময় দিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন,আমরা ভাটির দেশের লোক, যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশের পাহাড় থেকে ঢল নামে তখন আমাদের এখানে নদীপাড়ের ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। আর এজন্যই নদীভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই চিন্তিত থাকেন।
‘রাজনৈতিক সভায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখায় বিরক্ত হন প্রতিমন্ত্রী।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ফারুক জাহিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো সভা সমাবেশে ভবিষ্যতে স্কুলের ছেলে-মেয়েকে দেখতে চাই না। সুতরাং রাজনৈতিক কোনো সভায় আর শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখবেন না।
আমি এখানে আসার আগে যদি জানতাম, স্কুলের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন পথসভায় এভাবে ধরে এনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে তাহলে আমি এখানে আসতাম না।
আজ রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নদীভাঙন কবলিত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করতে এসে একাধিক পথসভায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে ঘর্মাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে এ কথাগুলো বলেন।
প্রতিমন্ত্রী অাজ মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনকবলিত নবীনগর উপজেলার কেদারখোলা নজর দৌলত, বাইশ মৌজা, চরলাপাং, সাহেবনগর, মানিকনগনরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা আজ পরিদর্শন করেন।
নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং জনসভায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন।