Sharing is caring!
প্রকৃত চোরকে বাদী বানিয়ে ভালো মানুষকে চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি
এম আব্দুল করিমঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত উপশহর পয়েন্টস্থ সিলেট মেন্দিবাগ ট্রাক স্টেন্ডের সামনে গত ৩০/১১/২০২০ ইং রাত অনুঃ ৮.৩০ মিনিটের সময় ১০ টি দেশীয় ভেড়া এবং এই ভেলাগুলো নিয়ে আসা হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল কে আটক করেন স্থানীয় সাদাটিকর এলাকার মোঃ আতিক মিয়া।
আটককৃত ১০ টি ভেড়ার মধ্যে ৩ টি নিজের দাবী করে সেগুলো চিহ্নিত করেন আতিক কিন্তু ভেড়ার কোন ক্রয়/বিক্রয়ের রশিদ উক্ত ভেড়ার মালিক দেখাতে না পারায় উপস্থিত লোকজন সন্দেহ করেন যে এগুলো চোরাই ভেড়া। পরে আশপাশ থেকে আরো কয়েকজন মানুষ এসেও তাদের কারো ভেড়া, কারো ছাগল বিভিন্ন সময়ে হারিয়েছে মর্মে দাবি করেন। একপর্যায়ে জুয়েল স্বীকার করেন যে তিনি শুধু ভেলাগুলো পায়ে হেঁটে সিলেট শহরের লাল বাজারস্থ শুভেচ্ছা খাসির মাংসের দোকান এর মালিক এর নিকট পৌঁছে দেন এর বেশি কিছু তিনি জানেন না,তার মহাজন নবীগঞ্জের মিনাজ পুর গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র, নুর ইসলাম(৫৮)।তিনিই সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই ভেড়া, ছাগল সংগ্রহ করে ভুয়া ছিট বইয়ের রশিদ বানিয়ে প্রায় দশ বছর যাবত এ ব্যবসা করে আসছেন।
অবশেষে ঐ দিন রাতেই উল্লেখিত মহাজন নুর ইসলাম ৩টি মা ভেড়া ও ২ টি বাচ্চা একটি এইচপিকআপে করে জুয়েলের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উপশহর পয়েন্ট এ আসেন।গাড়ি নং সিলেট -ন ১১-০২৮২ এবং এগুলোরও কোন বৈধ ক্রয়ের কোন কাগজ তিনি দেখাতে পারেন নি ।
পরে মেন্দি বাগ এলাকার আলেখ মিয়া ওয়াজিদ আলী,মাছিম পুর এলাকার আং রহিম ও এসে দাবি করেন যে বিভিন্ন সময়ে তাদের ছাগল ও ভেড়া হারিয়েছে কিন্তু কোন চোর ধরতে পারেন নি।
উল্লেখ্য যে আটককৃত ভেড়ার মধ্যে আলেখ মিয়া ওয়াজিদ আলী তাদের ৫ টি ভেড়া নিজের গৃহপালিত বলে চিহ্নিত করেন এবং এগুলো তারা নিয়ে যান।একপর্যায়ে আইনের আওতায় তাদের কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে কথিত মহাজন নুর ইসলাম তার সিলেট শহরের লাল বাজার এর শুভেচ্ছা খাসির মাংসের দোকান এর মালিক কে ফোন দিয়ে এখানে নিয়ে আসেন এবং অনেক কাকুতি মিনতি করে পুলিশের কাছে না দিয়ে উনার হেফাজতে নিয়ে যান এবং ভবিষ্যতে এই রকম চুরি না করার অঙ্গীকার করে একটি লিখিত প্রদান করেন।উক্ত অঙ্গীকার নামায় পর্যায়ক্রমে ভেড়া চোর হিসেবে জুয়েল, নুর ইসলাম এবং খাসির দোকান এর মালিক নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর ও টিপসহি প্রদান করে চলে যান।
পরবর্তীতে শোনা যায় যে সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ,কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃচট্ট২১৫৯ এর দুই দুই বারের নির্বাচিত সহ সম্পাদক ও অনিয়ম ও অপরাধ বিষয়ক জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক,সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান এর সাবেক সভাপতি জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা মরহুম আব্দুল্লাহ মিয়ার পুত্র, মোঃ আহমদ আলী স্বপন কে ৩ নং আসামি করে এবং আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে প্রকৃত ছাগল/ ভেড়া চোর নুর ইসলাম বাদী হয়ে সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে শ্রমিক নেতা আহমদ আলী স্বপন অভিযোগ পত্রিকা কে জানান যে, আসলে আমি আগামী সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এবং আমি একজন জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা, আমার পরিবারের এবং আমার মান সম্মান নষ্ট করতে একশ্রেণির মানুষ উঠে পড়ে লেগে গেছে, আমি যদি সৎ ও নীতি আদর্শের উপর থেকে থাকি তাহলে ইনশাআল্লাহ সলক তথ্য প্রমানসাপেক্ষে আমি অবশ্যই জয়ী হবো এবং আমার কাছে উনাদের সকল প্রকার ডকুমেন্টস আছে, অপেক্ষা শুধু সময়ের।