২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরদীতে চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২, ২০২০
ঈশ্বরদীতে চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

Sharing is caring!

ঈশ্বরদীতে চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

 

মো: ইয়াছিন শেখ,ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :-

দেশের ৬টি চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে বুধবার(২ ডিসেম্বর) সকালে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এসময় দাঙ্গা পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মিল গেটে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা মূখোমুখি হয়।

এসময় পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হলে বিক্ষোভকারীরা মিলগেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগাণ দেয়। মিল চালু রাখার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক লীগের আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পাবনা চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল, শ্রমিক নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। সভাপতিত্ব করেন আখচাষী ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান আলী বাদশা।

গত ১লা ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১১৬ নং স্মরকের এক চিঠিতে বলা হয়, চিনি আহরণের হার,আখের জমি, মিলের অবস্থা/দক্ষতা, লোকাসান ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিবেচনায় চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে অধিকতর বিবেচনায় ৯টি চিনিকলে উৎপাদন পরিচালনা করা ও অবশিষ্ঠ ৬টি মিলে আখ মাড়াই না করার প্রস্তাব করা হলো। আখ মাড়াই স্থগিতকৃত চিনিকলগুলোর মধ্যে রয়েছে, পাবনা সুগার মিল, কুষ্টিয়া সুগার মিল,পঞ্চগড় সুগার মিল, শ্যামপুর সুগার মিল, রংপুর সুগার মিল ও সেতাবগ্ঞ্জ সুগার মিল।

এই চিঠি বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশনের থেকে ২রা ডিসেম্বর বুধবার সকালে ১৯১৯ নং স্মারকে পাবনা সুগার মিলে পাঠানো হয়। করপোরেশনের এই চিঠি পাবনা সুগার মিলে আসার আগে মঙ্গলবার বিকেলে মিলের কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীদের মধ্যে মিল বন্ধের বিষয়টি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষুব্ধ ছিল। বুধবার সকালে চিঠি পৌঁছালে শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা বিক্ষোভ শুরু করে।

সূত্র জানায়, যেসব মিলে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই করা হবেনা সেসব এলাকায় উৎপাদিত ও কৃষকের সরবরাহকৃত আখ নিকটস্থ চালু চিনিকলে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। উৎপাদন স্থগিতকৃত মিল হতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চালুকৃত মিলে সংযুক্ত/বদলি পূর্বক সমন্বয় করা হবে। পরবর্তী মৌসুমে ৬টি চিনিকলের সাথে ফরিদপুর চিনিকল ও রাজশাহী চিনিকলেও আখ মাড়াই স্থগিতের পরিকল্পনা গ্রহনের কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।

পাবনা চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাজেদুল সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল জানান, আখ চাষী ফেডারেশনসহ ৬টি চিনিকলের নের্তৃবৃন্দের বৃহস্পতিবার ঢাকায় সমাবেত হওয়ার কথা রয়েছে। এখন থেকেই বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত: ৬টি চিনিকল বন্ধ ঠেকাতে পাঁচ দফা দাবিতে পাবনা সুগার মিলসহ ৬টি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষী ফেডারেশন যৌথভাবে গত কয়েকদিন ধরে চিনিকল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর আন্দোলন আরো বেগমান হবে বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন ।