৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের রাসোৎসব পালন

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২০
কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের রাসোৎসব পালন

Sharing is caring!

কমলগঞ্জে মণিপুরী সম্প্রদায়ের রাসোৎসব পালন

 

জায়েদ আহমেদ,কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

৩০ নভেম্বর (সোমবার) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনুষ্টিত হয় মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহা-রাসলীলা, গতকাল থেকে শুরু হয়ে আজ ভোর পর্যন্ত চলে রাস উৎসব। মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কেবল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালিত হয় রাস উৎসব। বাতিল করা হয়েছে রাস মেলা।

প্রতি বছরের অগ্রহায়ণের পূর্ণিমা তিথিতে জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় মণিপুরী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ ‘মহা রাসলীলা’ উৎসব।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কমলগঞ্জে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের আয়োজনে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়ামন্ডপ ও আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপে এ রাসোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এবার মাধরপুর জোড়ামন্ডপে মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সম্প্রদায়ের আয়োজনে ১৭৮তম এবং আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপে মণিপুরী মৈ-তৈ সম্প্রদায়ের রাস উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে ৩৫তম রাসোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সিমিত পরিসরে রাস উৎসবের আয়োজন করায় অন্যান্য বছরের মতো মণিপুরী পল্লীতে ছিলো না উৎসবের আমেজ।

মাধবপুর ও আদমপুরে রাসমেলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবং সরেজমিনে দেখা যায়, মহারাসলীলার মূল উপস্থাপনা শুরু হয় দুপুর থেকে ‘গোষ্ঠলীলা বা রাখালনৃত্য’ দিয়ে। গোষ্ঠলীলায় রাখাল সাজে কৃষ্ণের বালকবেলাকে উপস্থাপন করা হয়। এতে কৃষ্ণের সখ্য ও বাৎসল্য রসের বিবরণ দেখা যায়। গোধূলি পর্যন্ত চলে রাখালনৃত্য। রাত ১১টা থেকে পরিবেশিত হয় মধুর রসের নৃত্য বা শ্রীশ্রীকৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরণ।

এই রাসনৃত্য ভোর (ব্রাহ্ম মুহুর্ত) পর্যন্ত চলে। এই রাসনৃত্যে গোপিনীদের সাথে কৃষ্ণের মধুরলীলাই কথা, গানে ও সুরে ফুটিয়ে তুলেন শিল্পীরা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিাধ মেনে সীমিত পরিসরে ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। করোনার কারণে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও রাস মেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় লোক সমাগম অন্য বছরের থেকে সীমিত।