৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

নাটোরে প্রোলভনে বিবাহীত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণা!

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০২০
নাটোরে প্রোলভনে বিবাহীত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণা!

নাটোরে প্রোলভনে বিবাহীত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণা!

 

খাদেমুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রোলভনে বিবাহীত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নাটোর সদর উপজেলার মল্লিকহাটী মহল্লার ইয়াকুব আলী বাবুর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভুগী কাজলী ও তার পরিবার সুত্রে জানাযায়, প্রায় তিন বছর আগে ইয়াকুব আলী বাবুর সাথে বাড়ি থেকে নোয়াখালী তার আগের স্বামীর বাড়ির যাওয়ার পথে পরিচয়। বাবু তখন সামি জনি বাসের সুপার ভাইজার হিসেবে কাজ করতো। সেই বাসের নিয়োমিত যাত্রী ছিলেন ভুক্তভুগী কাজলী। যাত্রাপথে অভিযুক্ত সুপার ভাইজার বাবুর মিষ্টি মিষ্টি কথার মহে উন্মাদ হয়ে পড়েন তিনি। স্বামী ও ৭ বছরের সন্তান কে ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন দু’জনে। বাসা ভাড়া নেয় গাজিপুরে, ওখানে পোশাক কারখানায় কাজও জুটিয়ে নেন তিনি। প্রায় দু’বছর চলে তাদের এই অবৈধ মেলামেশা। ইতি মধ্যেই তার আগের স্বামী এই পরকীয়া প্রেমের খবর জানতে পেয়ে তালাক দিয়ে দেন কাজলীকে।

অবশেষে দু’বছর অবৈধ ভাবে থাকার পরে গত ০৪-০২-২০২০খ্রীঃ তারিখে পুনঃরায় বাবু এবং কাজলী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিবাহের দেনমোহর ৪ লক্ষ ১ টাকা করার কথা থাকলেও প্রতারক বাবু ছলচাতুরী করে শুধু ৪০ হাজার ১ টাকা কাবিন সম্পূর্ণ করে। সেটাও ভালোবাসার মোহে মেনে নেন কাজলী। বিয়ের কিছু দিনের মাথায় বাবু ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় কাজলীর পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য নানা রকম শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে শুরু করে। মেয়ের এই দি¦তীয় সংসার টিকাতে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা বাবুকে দেয় কাজলীর পরিবার।কিছু দিন যেতেই যা ছিল আবার তাই, সুখ পাখিটি অধরায় রয়ে গেল। যৌতুকের দাবিতে শুরু হয় অত্যাচার। দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে বিয়ের ১ মাস ২৫ দিনের মাথায় প্রতারক বাবু তালাক দিলেও তা জানেনা বলে দাবী করেন কাজলী।

অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বাবু দীর্ঘ দিনের পরকীয়া প্রেমের কথা স্বীকার করে বলেন, কাজলীর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল কিন্ত পারিবারিক সমস্যার কারনে আমি তাকে তালাক দেয়। আর যৌতুক ও দেন মোহরের টাকার লেন দেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

বাবুর প্রতিবেশী মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক জয়নুল আবেদীন এ ঘটনাটির সম্পর্কে জানান, শোরগোল শুনে বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন কাজলী ও তার মা কান্নাকাটি করছে। বাবু মেয়েটিকে প্রথমে অস্বিকার করে চেনেনা বলার কিছুক্ষন পরে আবার বাবু বলছে কাজলীর সাথে বিয়ে হয়েছিল, কিন্ত পরে ছারাছাড়িও হয়েগেছে। এখন সে তার কেউ না।

”ক্যাব” নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ও নারী নেত্রী শামীমা লাইজু নীলা বলেন, কাজলীর মতো এমন গ্রামের অসহায় সহজ সরল মেয়েদের সরলতার সুযোগে পুরুষ জাতির কলঙ্ক বাবুর মতো প্রতারকরা প্রতারণা করে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে, স্বামী-সন্তান হারায়ে সমাজের কাছে মেয়েটাকে খারাপ ভাবে তুলেধরে। এ ধরনের মেয়েরা উপায় না পেয়ে আত্বহত্যা সহ সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের দিকে চলে যেতে পারে। তাই আমি বলবো হতাশায় রাতের ঘুম নষ্ট না করে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন বুকে লালন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে কাজলী।

নাটোর পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এলামুল রহমান চিনু বিষয়টি সম্পর্কে কাজলীর নিকট থেকে অবহিত হয়ে বলেন, বাবু দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে, এর আগেও একাধিক মেয়ের সাথে এ ধরনের প্রতারনার অভিযোগ শুনেছি। কাজলী একটা অসহায় মেয়ে, এ মূহুর্তে তার মানষিক শক্তি দরকার। তাই কাজলী ও তার পরিবারের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media
June 2023
T W T F S S M
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930