২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: দুইমাসেও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ!

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ২৮, ২০২০
ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: দুইমাসেও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ!

Sharing is caring!

 

ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: দুইমাসেও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ!

 

 

কে আই লিমন :: সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দুইমাসেও অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিতে পারেনি পুলিশ। দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এই ঘটনার ডিএনএ প্রতিবেদনও এখনো এসে পৌঁছায়নি।

পুলিশ বলছে, তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অভিযোগপত্র প্রদান করা হবে।

ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিনটি কমিটিই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদনই প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার তরুণীর শারীরিক ক্ষত সেরে উঠলেও এখন মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তিনি এখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত আছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী (২৫)। করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই রেখে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাদের মারধর করে টাকাপয়সাও ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা।

ওই রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। জনমতের চাপ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ধর্ষণবিরোধী আইনও সংশোধন করে সরকার।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে এখনও ডিএনএ রিপোর্ট আসেনি। ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলেই অভিযোগপত্র প্রদান করা হবে।

তবে দুই মাসেও এই মামলার অভিযোগপত্র দিতে না পারাকে আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন অনুযায়ী এসব মামলায় আসামি হাতেনাতে ধরা পড়লে ১৫ দিনের মধ্যে এবং হাতেনাতে ধরা না পড়লে ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট চলে আসার কথা।

তিনি বলেন, এধরনের চাঞ্চল্যকর মামলায় ডিএনএ রিপোর্ট আসতে এতোটা বিলম্ব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এসব ক্ষেত্রে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন ছিলো।