২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে চাকরি না পেয়ে অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত যুবতীর আত্মহত্যা

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ২৭, ২০২০
ছাতকে চাকরি না পেয়ে অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত যুবতীর আত্মহত্যা

Sharing is caring!

ছাতকে চাকরি না পেয়ে অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত যুবতীর আত্মহত্যা।

 

 

ফকির হাসান :: ছাতকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে আত্মত্যার পথ বেচে নিয়েছে কুলসুমা বেগম (৩০) নামের এক উচ্চ শিক্ষিত যুবতি। বসতঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। কুলসুমা বেগম ছাতক সিমেন্ট কারখানার ইঞ্জিনিয়ারিং টিলার ৬নং বাসার বাসিন্দা, কারখানার সমবায় সমিতির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের কন্যা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্রতিদিনের মতো রাতের খাবর থেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে কুলসুমা। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ফজরের নামাজ আদায় করে মেয়ে নিজ কক্ষে না দেখে তাকে খুঁজতে থাকেন বাবা সিরাজুল ইসলাম। এক পর্যায়ে বসতঘর সংলগ্ন একটি আম গাছের ডালের সাথে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করতে থাকেন।

খবর পেয়ে ছাতক থানার এসআই আতিক ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এসময় পৌর কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ ও সুদীপ দে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, এমএ পাস করা কুলসুমা পরিবারের দুঃখ ঘুচাতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে চাকুরীর জন্য নিয়মিত আবেদন করতে থাকে। অবসরপ্রাপ্ত পিতার পরিবারে বোঝা না হয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করতে সে চাকুরীর জন্য হন্য হয়ে উঠে। কিন্তু ভাগ্য তাকে সহায়তা না করায় এক পর্যায়ে তার সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা পেরিয়ে যায়।

অপরদিকে, উপযুক্ত পাত্রের হাতে কুলসুমাকে পাত্রস্থও করতে পারছিলেন তার পরিবার। এসব ঘটনায় মান-অভিমানে উচ্চ শিক্ষিত কুলসুমা বেচে নেয় আত্মহত্যার পথ। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে।