Sharing is caring!
তারেক ও তাজুলকে দিয়ে টোকেন আবুলের লাখ লাখ টাকার ধান্ধা, অতিষ্ট সিএনজি চালকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর আম্বরখানা এলাকায় তারেক ও তাজুলকে দিয়ে শ্রমিক নেতা আবুল খাঁনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট সিএনজি চালকরা। পুলিশের কঠোরতায় টোকেন বিক্রি বন্ধ হওয়াতে এখন চালকদের হয়রানি করে নাম্বারের গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আবুলের দুই চাঁদাবাজ তারেক ও তাজুলকে দিয়ে চালকদের কাছ থেকে দৈনিক দুই শত টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। আম্বরখানা-সালুটিকর শাখার অর্ন্তভূক্ত প্রায় দুই শতাধীকেরও বেশী সিএনজি রয়েছে।
এই সকল সিএনজি থেকে তারেক ও তাজুলের দ্বারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করানো হয়। যদি কোন সিএনজি চালক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে মজুমদারিতে আবুল খাঁনের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করেন। কিন্তু কোন চালক তাদের এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। অথচ আবুলের এই দুই চাঁদাবাজ তারা নিজেদের স্টেন্ডের মাস্টার দাবি করেন। কিন্তু তারা কোন নির্বাচিত মাস্টার নয়।
এরা আবুলের চাঁদা আদায়ের হাতিয়ার। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের সিএনজি চালকরা। আবুলের হয়ে অবৈধ টাকার বিনিময় এক শ্রেণীর কিছু দালাল সাংবাদিক বর্তমানে তার নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।
জানা গেছে, আম্বরখানা-সালুটিকর শাখার শ্রমিক নেতা নাম্বার বিহীন সিএনজির টোকেন বাণিজ্যের মূলহোতা আবুল হোসেন খাঁন দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধ সিএনজি থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করে তিনি এখন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ ও সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম নাম্বার বিহীন সিএনজির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ায় তার অবৈধ টোকেন বাণিজ্য বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে থামেনি চাঁদাবাজ আবুলের বাণিজ্য। তিনি একটার পর একটা কৌশল করে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। এবার টোকেন বিক্রি বন্ধ হওয়াতে তিনি এখন একটি নতুন ধান্ধা নিয়ে কাজ শুরু করছেন। রাস্তায় আবুলের ১৫টিরও বেশি সিএনজি রয়েছে। বর্তমানে তার পাঁচ তলা বিশিষ্ট আরেকটি বাসার কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।
এছাড়া সামনে সিলেট জেলা অটোরিকশা সিএনজি চালিত শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং চট্র-৭০৭অন্তর্ভুক্ত আমম্বখানা- সালুটিকর শাখার আওতাধীন সালুটিকর স্টপীজ কমিটির দ্বি -বার্ষিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে আবুল হোসেন খাঁন সভাপতি পার্থী। একদিকে ভোট অন্যদিকে টোকেন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার পথে।
যার ফলে আবুল কিছু সাংবাদিক সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। আর এই সাংবাদিকরাই আবুলের সাফাই মিডিয়াতে প্রকাশ করছে। সিলেটের টোকেন বাণিজ্যের গড ফাদার আবুলের অটল সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করতে দুদকসহ প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন সিলেটের সচেতন মহল।