২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এবার জাতীয় শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা : রমিতা ইসলাম

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০২০
এবার জাতীয় শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা : রমিতা ইসলাম

Sharing is caring!

 

এবার জাতীয় শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা : রমিতা ইসলাম

 

পুনম শাহরীয়ার ঋতু :: এবারের সারা বাংলাদেশে জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নিবার্চিত হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে প্রতি বছর নানা উৎসাহমূলক জাতীয় পর্যায়ে জেলা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বাছাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কাজের গতি ও মান বিবেচনাপূর্বক সারা বাংলাদেশে জড়িপ চালিয়ে জাতীয় পুরস্কার ঘোষণা করেন।

এই মন্ত্রনালয় প্রতি বছর মাঠ পর্যায়ে কর্মকতার্দের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে থাকেন।

গত দুই বছরে কালিয়াকৈর উপজেলার ১শত ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচী পালন, শহীদ মিনার স্থাপন, বিল্ডিংয়ে রঙধনু রঙে রং করাসহ নানা আকর্ষণীয় মুগ্ধকর আলপনা স্থাপন করেন, কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম।

বিশেষ করে রঙ ধনু ছিলো উপজেলা ১শত ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাণ। প্রতিটি বিদ্যালয়ের গায়ে একই রকমের রং থাকায় শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্কুলের দিকে বেশি আকর্ষণ করেছে।

তবে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকতার্রা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরোধে বাড়ী বাড়ী গিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখি করা ছিলে এ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলামের প্রথম থ্রিম।

তিনি যখনই সময় পেয়েছেন তখনই প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলো গিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সাথে প্রাণবন্ত আলোচনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর বৃদ্ধির লক্ষে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

জানা যায়, গত ২০১৯ সালে রমিতা ইসলাম জেলা পযার্য়ে শ্রেষ্ঠ হয়ে বিভাগীয় পযার্য় সকল কর্মকান্ডের তথ্য জমা দেন। গত বছরের শেষ দিকে তিনি বিভাগীয়তে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিবার্চিত হন। সব শেষে তিনি সারা বাংলাদেশে জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নিবার্চিত হন।

গত মাসে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে এ নিবার্চিত শ্রেষ্ঠ তালিকা প্রকাশ করলে উপজেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার্ রমিতা ইসলামের নেতৃত্বে শক্তিশালী একটি টিম সর্বদা শিক্ষার্থীদের মননশীল মেধা বিকাশ, স্কুল প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করাই ছিলো আমাদের মুল লক্ষ্য। সেই কাজ করাসহ নানা সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে দেওয়াতেই আজ আমরা জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নিবার্চিত হতে পেরেছি।

সারা বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম জানান,চাকুরি জীবনে জাতীয় পদক প্রাপ্তি একটি বড় অর্জন। এই অর্জন কাজের গতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা ইতো মধ্যেই বাস্তবায়ন করেছি এবং আরও অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এগুলো সম্পন্ন হলে আমার বিশ্বাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্খীর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং উভয়ই বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে সমর্থ হবে।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯ এর জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আমি কালিয়াকৈর উপজেলার সকল শিক্ষক,অভিভাবক, এসএমসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারবৃন্দ,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ, ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ। সবাইকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে চাই স্বপ্নের সীমানায়।