মিথ্যে তথ্য দিয়ে সিলেট কারাগারে চাকরি করছেন দেড়শ’ কারারক্ষী
সিলেট অফিস :: জেলা কোটার সুযোগ নিতে ঠিকানা পাল্টে, মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় দেড়শজন কারারক্ষী কাজ করছেন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি। ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে নিয়োগ পাওয়া এই কারারক্ষীদের একেকজন প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সিলেট কারাগারে কাজ করছেন বলে জানা যায়। তবে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সিলেট কারাগারে চাকরি নেওয়া কারো কোনো তথ্য বা এ ব্যাপারে কারো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সিলেট কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মনজুর হোসেন রোববার বলেন, আমি নতুন জয়েন করেছি এখানে। এধরনের অভিযোগ আমার কাছে এখনো আসেনি। ইতোপূর্বে এসে থাকলে এ সংক্রান্ত অভিযোগ সাধারণত আমাদের ডিআইজি অফিসে যায়। সিলেট কারাগারের এই বিষয়টা আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, কারারক্ষী নিয়োগের সময় পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। যদি কারো এধরনের তথ্যগত বিভ্রান্তি থাকে এবং এই বিষয় নজরে আসে তাহলে তার চাকুরিচ্যুতি ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসমস্ত বিষয়গুলো ডিআইজ প্রিজন অফিস থেকে হয়।
জানা যায়, সিলেটের দুটি কারাগারে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রায় দেড়শ কারারক্ষী কাজ করছেন। এদেরই একজন কবির হোসেন। তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বানগাঁও এলাকার বাসিন্দা উল্লেখ করে সিলেট জেলা কারাগারে চাকরি নিয়েছেন। কিন্তু তার আসল বাড়ি কুমিল্লায়। জেলা কোটায় সুবিধা নিতেই ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তিনি। ভুল তথ্য দিয়ে চাকরি নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কবির হোসেনও।
কবিরের মতোই মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নিয়েছেন কারারক্ষী আবদুল মতিন। নিয়োগপত্র অনুযায়ী তার বাড়ির ঠিকানা হবিগঞ্জ জেলার গোবিন্দপুরের বানেস্বর পুর গ্রামে। কিন্তু তারও আসল বাড়ি কুমিল্লায়।
স্থায়ী ঠিকানা, স্কুল সার্টিফিকেট ও পুলিশ ভেরিফিকেশনেরও জাল সনদ টাকার বিনিময়ে নিয়েছেন বলে জানান কয়েকজন কারারক্ষী। কারাগারের এই জাল নিয়োগ বড় অফিসারদেরও সংযোগ রয়েছে বলে জানান সিলেট কারাগারের কারারক্ষীরা।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেটের ডিআইজি প্রিজনের পদটি খালি রয়েছে। সিলেটর অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি। সিলেটের নতুন ডিআইজি শীঘ্রই যোগ দেবেন। নতুন ডিআইজি যোগ দেওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সিলেট কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. মনজুর হোসেন।
<p>ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।<br>সহকারী সম্পাদক-নাসরিন আক্তার রুপা।<br>বার্তা সম্পাদক-মোঃ জান্নাত মোল্লা।<br>প্রধান উপদেষ্ঠা: আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মওলা নকশে বন্দী ।<br><br>প্রকাশ কর্তৃক : এডভানসড প্রিন্টং - ক-১৯/৬, রসুল বাগ, ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা ১২১৯ ,<br>মোবাইল: - ০১৮৮৩২২২৩৩৩,০১৭১৮৬৫৫৩৯৯</p><p>ইমেইল : abhijug@gmail.com ,</p>
Copyright © 2024 Weekly Abhijug. All rights reserved.