২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ এবং ছায়াদ আলমের বক্তব্য

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ৮, ২০২০
প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ এবং ছায়াদ আলমের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদ এর প্রতিবাদ এবং ছায়াদ আলমের বক্তব্য

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত ১৯/১০/২০২০ ইং অনলাইন পোর্টাল বিশ্বনাথ বিডি ২৪ ডটকম এ প্রকাশিত রামপাশা নতুন বাজারে তিন ভাই রেস্টুরেন্টে ফয়েজ উল্লাহ এর হামলা ও মারামারির ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, অযৌক্তিক,উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলার ৪ নং রামপাশা ইউনিয়ন এর রামপাশা গ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব,রামপাশ নতুন বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রামপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিএ কমিটির সভাপতি মোঃ ছায়াদ আলম।

গত ০৭/১১/২০২০ ইং এক বিবৃতির মাধ্যমে ছায়াদ আলম জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকা কে জানান যে, ফয়েজ উল্লাহ এবং আমি একই গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি আমার পড়শীও বটে। সেই সুবাদে প্রায় এক বছর আগে তিনি আমার কাছে তাহার নিজের বাড়ি বিক্রি করবেন মর্মে স্বীকার করে এলাকার কয়েকজন স্বাক্ষীর সম্মুখে দুই কিস্তিতে নগদ মোট আট লক্ষ টাকা নেন এবং বিশ্বাস হিসেবে আমাকে সোনালী ব্যাংক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাখার একটি চেক প্রদান করেন, যাহার নং ২২০২৭৫৭। এর পর দীর্ঘ কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও তিনি আমাকে তাহার কথানুযায়ী বাড়ি রেজিঃ করে না দিয়ে নানান টালবাহানার আশ্রয় নেন। আমি এলাকার মুরুব্বি সহ সাক্ষীগণকে নিয়ে উনার কাছে বাড়ি অথবা আমার পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করি। পক্ষান্তরে তিনি বলেন তোমাকে তো আমি ব্যাংকের একটি চেক দিয়েছি, তুমি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নাও,আমি বাড়ি বিক্রি করবো না। অবশেষে গ্রামের সালিশগণও এ বিষয় নিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় অপারগ হয়ে আমি গত ১৮/০৬/২০১৯ ইং তারিখে সোনালী ব্যাংক, শাবিপ্রবি শাখায় নগদায়নের জন্য ফয়জ উল্লাহর দেয়া আট লক্ষ টাকার চেক ব্যাংকের ক্যাশ শাখায় জমা দিলে,সংশ্লিষ্ট একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজ অনার হয় এবং আমি আবারও ফয়েজ উল্লাহর সাথে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলাপ করলে উল্টো তিনি আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখান এবং আমাকে দেখে নিবেন বলে হুমকিও দেন।

অবশেষে আমি আমার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে আইনের মাধ্যমে আদালতের দারস্থ হই এবং প্রতারক ফয়েজ উল্লাহ কে আসামি করে (বিশ্বনাথ সি,আর-২৭২/২০১৯) একটি মামলা দায়ের করি।

পরবর্তীতে বিচারের জন্য মামলাটি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে স্থানান্তরিত করা হয় এবং সমস্ত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে উক্ত আদালতের বিজ্ঞবিচারক মোঃ মাসুদ পারভেজ গত ২৭/০২/২০২০ ইং মামলায় অভিযুক্ত আসামি মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, পিতা মৃত মিলফত উল্লাহ,সাং-রামপাশা,থানা-বিশ্বনাথ,জেলা -সিলেট কে দোষী সাব্যস্ত করে ০৮(আট) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৮,৫০,০০০(আট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করেন। সেই থেকে ফয়েজ উল্লাহ ফেরার হয়ে আমার উপর আরো ক্ষেপে যায় এবং আমি ও আমার পরিবারের ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়।

অবশেষে গত ১৯/১০/২০২০ ইং ফয়েজ উল্লাহ তার ভাগিনাদের সহযোগিতায় রামপাশা নতুন বাজারে মারামারির ঘটনার একটি নাটক সৃষ্টি করে এবং নিজেই নিজের শরীরে ব্লেড দ্বারা হালকা চিরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাগজ নিয়ে এবং সম্পুর্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক ভাইদের বিভ্রান্ত করে, বিশ্বনাথ থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা দায়ের করে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আসলে প্রকৃত ঘটনা হলো আমার পাওনা আট লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফয়েজ উল্লাহ আমার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত এ ষড়যন্ত্র করেছেন।

আমি জানি সাংবাদিকগণ জাতির বিবেক! তাই আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনারা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুন। পাশাপাশি আমি বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসন এবং সিলেটের মানবিক পুলিশ সুপার জনাব ফরিদ উদ্দিন স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি আপনার সৎ ও নিরেপক্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে আসল রহস্য উন্মোচন করে আমি এবং আমার পরিবারকে হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা থেকে রক্ষা করুন।

Please Share This Post in Your Social Media
March 2024
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031