Sharing is caring!
কানাইঘাটে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ: মামলা দায়ের
সিলেট ব্যুরো অফিসঃ কানাইঘাটে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক জঙ্গলে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিতার ভাই এ ঘটনায় বাদী হয়ে প্রথমে কানাইঘাট থানায় মামলা করতে গেলে ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি।
পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষিতার ভাই সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৫৫, তারিখ ০৩/১১/২০২০ইং।
মামলার আসামীরা হলেন, কানাইঘাট উপজেলার বাখালছড়া ডাউকেরগুল গ্রামের রহিম উদ্দিন রমুর ছেলে আব্দুল জব্বার (৩০), একই গ্রামের মৃত সফিকুল হকের ছেলে আব্দুস সালাম (৩৫) ও মৃত খলিল মিয়ার ছেলে হবিবুর রহমান উরফে হইবুর (৪০)।
মামলার বাদী কিশোরীর বড় ভাই মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩১ অক্টোবর বেলা ২ টায় তার বোন বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গেলে আসামীরা পরিবারের সদস্যদের অগোচরে তাকে মুখ চেপে বাড়ির অদুরে পাশ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়।
সেখানে তিনজন পালাক্রমে তার বোনকে ধর্ষণের পর রাত ২ টায় কানাইঘাটের মাওলানা মশাইদ আলী ব্রীজের দক্ষিণ পাশে নদীতে থাকা একটি ইঞ্জিন নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরী কেঁদে কেঁদে গভীর রাতে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে বাড়ির লোকজন কিশোরীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন।
কিশোরীকে সমজিয়ে দেওয়ার সময় তা মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পরে ভিকটিম কে নিয়ে থানায় গেলেও থানা পুলিশ ধর্ষকদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে মামলা না নিয়ে তাদের বিদায় করে দেয়।
পরবর্তীতে ধর্ষিতার ভাই বোনকে নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি কেয়ারে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক অবস্থায় ধর্ষণের আলামত পান এবং ডিএনএ টেষ্টের জন্য ধর্ষিতার কাপড় চোপর হাসপাতালে সংরক্ষণের জন্য রেখে দেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী ধর্ষকরা মামলার বাদীকে মামলা তুলে আনার জন্য প্রাণনাশী হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
মামলার এজাহারে বাদী আরো উল্লেখ করেন, মামলার ১ নং আসামীর ভাই আরেকটি ধর্ষণ মামলার আসামী, ৩ নং আসামী হাবিবুর রহমান সাজাপ্রাপ্ত ডাকাতি মামলার আসামী। থানায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ভারত সিমান্ত দিয়ে আসা চোরাচালানের সাথে আসামীরা জড়িত।