২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মোকামিয়া দরবার শরিফ পীরসাহেবের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে চর-থাপ্পরের অভিযোগ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৪, ২০২০
মোকামিয়া দরবার শরিফ পীরসাহেবের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে চর-থাপ্পরের অভিযোগ

Sharing is caring!

নিজস্ব প্রতিনিধি: বরগুনার বরগুনার বেতাগীতে করুনা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মোকামিয়া দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মাহফিলের মধ্যে এক ব্যবসায়ীকে চর থাপ্পর মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মোকামিয়া মাদ্রাসা বাজারের চৌরাস্তার পাশে ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও মাদ্রাসায় পড়–য়া ছাত্রদের দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যবসায়ীদের একাাধিক দোকান থেকে হাজার হাজার টাকার মালামাল উৎকোচ হিসেবে নিয়ে আসতে হুকুম দেয় মোকামিয়া দরবার শরিফের বর্তমান পীর ও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস। জানা যায়,গত সোমবার বিকাল থেকে দুই দিনব্যাপি বার্ষিক ঈছালে সওয়াব মাহফিল শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পরিদর্শনে বের হন পীর ফেরদৌস রাস্তার পাশে খেলনার দোকান দেখে ক্ষেপে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে নিষেধ করে যান তিনি। কিছুসময় পরে এসে দোকান খোলা দেখে আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ীকে চর থাপ্পর শুরু করেন এবং মাদ্রসায় পড়–য়া ছাত্রদের তার দোকানের মালামাল(খেলনা) নিয়ে যেতে নির্দেশ দেয় এমন পর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার পাশের সকল ক্ষুদ্র খেলনার দোকান থেকে তাদের সকল মালামাল নিয়ে আসতে বলেন। রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি হুজুরের(পীর সাহেব ও অধ্যক্ষ) কাছে হাত জোর করে মাফ চাইছি পরই চোপর(থাপ্পর) মারছেন।পরে তার সাথে থাকা পোলাপান (ছাত্ররা) মোর(আমার) সামনে থাইক্কা (থেকে) যার যা মনে লইছে (পছন্দ হয়েছে) লইয়া আডা দেচে (নিয়ে হেটে চলে গেছেন)।হাত পা ধরার পরও হুজুরে দোকানের মালগুলো ফেরৎ দেয়নি। দোকানে বিক্রি করার মতো কোন মালামাল(পন্য) নাই। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মাসুম বলেন,শুধু হুজুরে হাত দিয়ে আমার দোকান ছুয়ে দিছে পরপরই ছাত্ররা কম হলেও আমার দোকান থেকে তিন হাজার টাকার মালামাল নিয়ে চলে গেছে। শুধু বাচ্চাদের কিছু খেলনা সামনে রাখছি এই অপরাধ। এমন না আমরা মহিলাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করছি যে, দরবার শরিফের শালিনতা নষ্ট হবে। যেদি তাও বিক্রি করতাম তাও দূঃখ ছিলোনা। স্থানীয় খেলনা ব্যবসায়ী মো. সামসুদ্দিন বলেন, আমরা পরিচিত তাই আমাদের গায় হাত তোলেনি কিন্তু একজন দোকানদারকে হুজুরে নিজে থাপ্পর মারছেন। এমন যদি একজন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও দরবার শরিফের পীরের আচারণ হয় তাহলে আর চরিত্র বলে কিছু থাকে না। প্রত্যেকটা দোকান থেকে মালামাল নিয়ে গেছে। দোকানদারি যদি অন্যায় হতো বলতো দোকান বন্ধ করে দিতাম। এজন্য ছাত্রদের দিয়ে মালামাল নিয়ে যাবে মারধর করবে।এছাড়াও নাম না প্রকাশের শর্তে, এলাকার একাধিক বাসন্দিা বলেন, পূর্বেও এই পীরের বিরুদ্ধে মানতের ছাগলের টাকা হাতে না পাওয়ায় বাবুর্চিকে পেটানো ,বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে অবৈধভাবে জমি দখলসহ মোকামিয়া দরবারে দান করা অর্থ আতœসাতের এমন একাধিক অভিযোগ আছে। এমন অভিযোগের ব্যাপারে করুনা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও মোকামিয়া দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস বলেন, মাহফিলের মধ্যে দোকান দিলে লোকজন হাটাচলা কওে অসুবিধা হয়, আর খেলনার দোকান থাকলে বাচ্চারা আসে ভীর হয় আর তাই দোকান বন্ধ রাাখতে বলেছি ছাত্ররা মালামাল খেলনা) আনতে পারে আমার জানা নেই । মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এরিয়ে যান এবং বলেন এ ব্যাপরে আমি কিছু জানি না। বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মাহফিলে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছবির ক্যাপশন: মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস।