Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টারঃ দুই দিন ধরে রাহেনুলকে মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরদারিতে রাখা পর। অবশেষে রংপুরের হারাগাছের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেফতার করে নগরীর পিবিআই কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর রংপুর পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুকে আদালতে নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে পিবিআই’র জেলা পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গণধর্ষণের ঘটনার আগের দিন ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এএসআই রাহেনুল তার পূর্বপরিচিত এজাহারভুক্ত আসামি ভাড়াটিয়া মেঘলার বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ওই স্কুলছাত্রী রাহেনুলের সাথে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে তার মা বকাবকি করেন। এতে মেয়েটি অভিমান করে ওইদিন রাতে রাহেনুলের পরিচিত ভাড়াটিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে অবস্থানকালে পরের দিন অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও শম্পার সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এর আগে বুধবার বিকেলে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেয়া ঘটনার বর্ণনায় রাহেনুলের সম্পৃক্ততার কথা জানান ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী।
এদিকে ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া অপর আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে সন্ধ্যায় আদালতে নেয়া হয়। সেখানে একই বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন তারা। এছাড়াও মঙ্গলবার ধর্ষণের ঘটনার সহযোগিতা করা মেঘলা ও শম্পা নামে দুই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরপর এজাহারভুক্ত আসামিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি এবং আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনায় এএসআই রাহেনুলের সম্পৃক্ততা সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।