Sharing is caring!
সিরাজুল ইসলাম শ্যামল,সুনামগঞ্জ থেকেঃ-
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাওঁ গ্রামে সন্ত্রাসীদের দাড়াঁলো অস্ত্রের আঘাতে একই পরিবারের নারী পূরুষসহ ৮জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২৪জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় গত ২৬ অক্টোবর বিকাল ৪টায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কাইয়ারগাওঁ গ্রামের ৩০/৪০জনের একটি সন্ত্রাসী দল পরিকল্পিত ভাবে একই গ্রামের নিরীহ হুরা কাজীর বাড়িতে গিয়ে দাঁড়ালো অস্ত্র রামদা, দা,চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড,লাঠিসুঠা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় এতে হুরা কাজীর স্ত্রী ছেলে মেয়ে ও পূত্রবধূসহ একই পরিবারের ৮জন নারী পূরুষ সন্ত্রাসীদের দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
আহতরা হলেন জায়েদা খাতুন(৬০), শহিদ মিয়া(২৮),সাবিকুন নাহার (২৫), হারুন মিয়া(৩৬),শামছুন্নাহার(১৬), রুবেল মিয়া(২৪),পান্না বেগম(২৬),ফরিদ মিয়া(৪০) প্রমুখ। এদের মধ্যে জায়েদা খাতুন, শহিদ মিয়া, সাবিকুন নাহারের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ হামলার ঘটনায় আহত ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে ২৪জনকে আসামী করে গত ২৭ আক্টোবর সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার সদর থানা মামলা নং-৪৮-২৭/১০/২০২০ইং।
আসামীরা হলেন একই গ্রামের মো: সৈয়দ আলীর ছেলে মো: মকবুল হোসেন (মগল)(৩২),মো: নজরুল ইসলাম(মানিক)(৪০),মৃত কালা মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলী(৩৫),মো: ফয়েজ আলী(২৬)মো: আবুল কাশেমের ছেলে শো: ওমর ফারুক(৩২),মৃত রঞ্জু মিয়ার ছেলে মো: মরম কাজী(৪০),দানিস মিয়ার ছেলে মো: শামত আলী(শামু)(৩২), মো: মোক্তার হোসেন(২৬),মো: আক্তার হোসেন (২৮), আবদুল কাদিরের ছেলে মো: বকুল মিয়া(৪০),বকুল মিয়ার ছেলে মো: আব্দুল হান্নান(২৪),মো: আব্দুল মন্নান(২২),মরম আলীর ছেলে মো: মনছুর আলী(২৪),মো: সৈয়দ আলীর ছেলে মো: ইকবাল হোসেন(৩৪),আবুল কাশেমের ছেলে মো: নুর গণি (২৫),মৃত আশ্রব আলীর ছেলে মো: জামাল মিয়া(৩৪),রতন মিয়ার ছেলে মো: ফজল মিয়া(২৮),মো: হযরত আলী(২৫),মৃত আব্দুল মজিদের ছেলেমো: রতন মিয়া(৫৫),মৃত রেনু মিয়ার মেয়ে মোছাঃ তাজমল বেগম(৩৮), শুক্কুর আলীর স্ত্রী তাজমহল বেগম(২৮), মৃত কালা মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ জামিনা বেগম(৫৫), খলিল মিয়ার ছেলে মো: নুরুল ইসলাম(২৮),একই ইউনিয়নের কামার ভিটা গ্রামের মৃত ইছমত আলীর ছেলে মো: রেনু মিয়া(৪৫)।
এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান থানায় মামলা হয়েছে অপরাধী যেই হোক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আসামীদের ধরার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।