Sharing is caring!
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ- কোর্টের রায়ের পর গতকাল মঙ্গলবার গত ২২শে অক্টোবর চুরি যাওয়া সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে ভানডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঞ্চারখাল লাগোয়া ট্রাস্টহোম সার্ভিস নামের একটি দোকানের গোডাউন থেকে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান।
তিনি জানান, চলতি মাসের ২২তারিখ জনৈক জিয়াউর রহমান জিয়া ঠিকাদার নামের এক ব্যাক্তি তার সিমেন্ট বোঝাই একটি কার্গো চুরি হয়েছে মর্মে একজনকে আসামী করে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে বাদল জেলা কারাগারে এবং কার্গোটি থানা হেফাজতে আছে।
কোর্টের রায়ে সোমবার মামলায় উল্লেখিত চুরি যাওয়া সিমেন্ট মালিককে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশে আকিজ গ্র ুপের সেই সিমেন্ট গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার হয়। এদিকে এই চোরাই কারবারের সাথে বাঞ্চারখাল এলাকার একটি ইটভাটার পরিচলক মো. জসিম খান তার সহযোগি স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে স্থানীয় সাংবাদিকেদর অনুসন্ধানী খোঁজে। এই ঘটনায় একটি বিশ্বয়কর রসহ্য রয়েছে বলে স্থানীদের সাথে আলাপকালে জানাগেছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে নির্বাচিত এক জনপ্রতিধি জানান, কার্গোর মাল উঠল বাঞ্চার খালে, কার্গো পাওয়াগেল পটুয়াখালী ডকইয়ার্ডে ।
আর সেটি আনলইবা কিভাবে ? ঘটানর সাথে সম্পৃক্ত জসিমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ মালের মালিকের বাড়ি ঢাকায়। তবে এই র ুটে নৌ পথে বিভিন্ন সময়ে এক আধটু ঝামেলা হলে আমাকে (জসিম)সাহায্য করতে হয়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, কার্গোতে ৬হাজার ৭শ ব্যাগ সিমেন্ট,কয়লা এবং পাথর ছিল।
যার আনুমানি মূল্য ৪৬লাখ টাকা। মামলায় সিমেন্টের উল্লেখ থাকলেও অন্য মালামালের উল্লেখ নেই।
মামলা দায়ের এর পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাÐারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাইায়ুম জানান, মামলার পরই উল্লেখিত কার্গোটি বরগুনা জেলার পটুয়াখালী লঞ্চঘাট লাগোয়া একটি ডকইয়ার্ড থেকে কার্গোটি উদ্ধার করে ভাÐারিয়া থানা পুলিশ জব্ধ করে এবং ওই কার্গের ছুকানি বাদল (৪২) নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে বাদল জেলা কারাগারে এবং কার্গোটি থানা হেফাজতে আছে।
এদিকে এসকল ঘটনায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চোরাই চক্র দীর্ঘদিন থেকে নৌ পথে এ কাজ করে যাচ্ছে বলে বলেও জনশ্রæতি রয়েছে। বলেশ্বর নদের শাখা কচাঁ নদী নৌ পথে এখন চোরাই মালামাল পাচারের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিনত হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,চলতি মাসের ২২তারিখ নাম বিহীন খোদাই করা (এন- ১২৯১৭) নম্বর সম্বলিত একটি সিমেন্ট ভর্তি কার্গো উদ্ধার করেছে ভাÐারিয়া থানা পুলিশ।
এর পূর্বে গত আগষ্ট মাসের শেষের দিকেও একটি বালু ভর্তি কার্গো থেকে স্থানীয় লঞ্চ ঘাটে বালু নামানো হয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ সুত্রে জানাগেছে,সিমেন্ট বোঝাই কার্গোটি নারায়নগঞ্জ থেকে খুলনা ডিপোতে যাওয়ার পথে পথে কার্গোতে থাকা সিমেন্ট ওই কার্গোর ছুকানি এবং অন্যরা মিলে ঘাটে ঘাটে অর্ধেক দামে সিমেন্ট বিক্রি করে কার্গোটিও বিক্রির পায়তারা করছিল। আর পটুয়াখলী ডকইয়ার্ড থেকে উদ্ধারকৃত কার্গোর রং পরিবর্তন করে এবং সামনা – পিছন কেটে ফেলার চিহ্ন রয়েছে।
এবিষয়ে গতকাল পটুয়াখালী থেকে একটি কার্গো আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার দুপুরে সেল ফোনে ওই থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, কার্গো উদ্ধারের বিষয়ে তার জানা না থাকলেও ওখানে একটি ডকইয়ার্ড রয়েছে। তবে কার্গো জদ্ধের বিষয়ে তিনি না জানলেও কাগজপত্রে রয়েছে। কারন এক থানা থেকে অন্য থানায় আটকের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার রিকোজিশনের প্রয়োজন হয়।
এবিষয়ে ভাÐারিয়া থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, সিমেন্ট ভর্তি স্টীল বডির কার্গো জব্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এটি নারায়নগঞ্জ থেকে খুলনা ডিপোতে যাওয়ার পথে চুরির বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি(১৫/২২) মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত ছুকানি জেল হাজতে । বাকি রহস্য উৎঘাটনের জন্য আইনগত প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।