Sharing is caring!
এম আব্দুল করিম,সিলেট থেকে ::
স্বামীর নিকট ভরণ-পোষণ চাইতে গিয়ে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানার বালুচর এলাকার গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম। সিলেট জজকোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এএইচ এরশাদুল হককে স্বামী দাবি করে তিনি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মনোয়ারা বেগম বলেন, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেট জজকোর্টের সাবেক পিপি এরশাদুল হকের সাথে ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তার বিয়ে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর আমাদের সংসার ভালো চললেও কিছু দিন পর স্বামীর ব্যবহার খারাপ হতে শুরু করে। বারবার শারীরিক নির্যাতনের কারণে একাধিকবার আমার গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। এসব ব্যাপারে আগে আরো এক সংবাদ সম্মেলনে আমি বিস্তারিত জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ২১ অক্টোবর আমি আমার সন্তান ইশরাত জাহান ইমুকে (৫) নিয়ে সিলেট জেলা বারের ২ নম্বর হলে অবস্থিত আমার স্বামীর চেম্বারে যাই। এসময় তার কাছে আমার ও সন্তানের ভরণ-পোষণ চাইতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে ও সন্তানকে মারধোর করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দেন যে, তিনি সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে শায়েস্তা করাবেন। আমি তখন তাকে প্রশ্ন করি, কেন আমাকে মারার জন্য তিনি বারবার গুন্ডা ভাড়া করেন? তখন তিনি আমাকে ও আমার মাকে নিয়েও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পুরো বিষয়টি কে বা কারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং তা ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আমার কাছে আছে।’
তিনি বলেন, ‘তার (স্বামীর) চেম্বারে যাওয়ার কারণে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আমার স্বামী অতীতে যেমন আমাকে নির্যাতন করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন, এখনো তিনি তেমনি আমার একমাত্র সন্তানকে মেরে ফেলার নানা ফন্দি করছেন। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেয়ের ভরণপোষণের জন্য স্বামীর চেম্বারে যাওয়া আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যখন-তখন আমি ও আমার মেয়ের উপর হামলা হতে পারে।’
তিনি তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এবং তার স্বামী এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।