২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দৃশ্যমান ৫ হাজার ১০০ মিটার স্বপ্নের পদ্মাসেতু

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২০
দৃশ্যমান ৫ হাজার ১০০ মিটার স্বপ্নের পদ্মাসেতু

Sharing is caring!

 

ফৌজি হাসান খাঁন রিকু,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হলো ৩৪তম স্প্যানটি।

এতে দৃশ্যমান হলো ৫ হাজার ১০০মিটার স্বপ্নের পদ্মা সেতুর।৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দ্বিতল এই সেতুটি সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হতে বাকি রইল আর মাত্র ৭টি স্প্যান বসানোর কাজ।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সেতুর ৩৪ তম স্প্যানটি বসানোর কাজ শুরু করা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে শেষ হয়। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে স্প্যানটি বসানোর চেষ্টা চললেও বৈরী আবহাওয়া ও নাব্যতা সংকটের কারনে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

৩৩তম স্প্যান বসানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ৩৪তমটি বসানো হলো। গত ১৯ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় ৩৩ তম স্প্যান।

এ মাসে আরও একটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টার সময় কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের জেটি থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ ক্রেনের মাধ্যমে সেতুর ৭ও৮ নম্বর খুঁটির কাছে আনা হয়।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান,পর্যায়ক্রমে বাকী থাকা আরও ৭টি স্প্যান ১,২,৮,৯,১০,১১,১২ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে যা মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে সব মিলিয়ে ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

এর মধ্যে ৪০টি খুঁটি থাকবে পানিতে আর ২টি ডাঙায়। ডাঙায় থাকা দু’টি খুঁটি সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সেতুকে যুক্ত করবে।

৬টি মডিউলে বিভক্ত থাকবে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট বা ঝুলন্ত পথ ও জাজিরা প্রান্তে থাকবে এক হাজার ৬৭০ মিটার।

নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মা সেতুর পুরোটাই নির্মিত হবে স্টিল ও কংক্রিট স্টাকচারে।

যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুর ওপরের অংশে থাকবে কংক্রিট ঢালাই করা চার লেনের মহাসড়ক আর তার নিচ দিয়ে যাবে রেললাইন।