২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মোংলা বন্দরে ১৫ এবং ১১ দফা দাবিতে ৩ দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি, নেই কোন মালিক পক্ষের আশ্বাস-

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২২, ২০২০
মোংলা বন্দরে ১৫ এবং ১১ দফা দাবিতে ৩ দিন ধরে চলছে কর্মবিরতি, নেই কোন মালিক পক্ষের আশ্বাস-

Sharing is caring!

মোঃজাহান জেব কুদরতী,
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি- নৌ-শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা, নদীতে নিরাপত্তা ও পরিচয় পত্রসহ বাংলাদেশ লাইটার ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ১৫ এবং ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো মোংলা বন্দরেও নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন অব্যাহত রেখেছেন। টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে শ্রমিকদের নৌ-পথে কর্মবিরতী,কিন্ত মালিক পক্ষ শ্রমিকদের দাবী অ-যৌক্তিক বলে মানতে নারাজ তারা।পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ২০ অক্টোবর রাত ১২টা ১মিনিট থেকে দেশ ব্যাপী কর্মবিরতীর ডাক দেয় বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমীক ফেডারেশন ও লাইটার শ্রমীক ইউনিয়ন।এ দাবীর ব্যাপারে নৌযান মালিকদের পুর্বে থেকেই জানানো হয়েছে তারা ২০ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতী পালন করবে।গত বছর দু’দফায় এসকল দাবী নিয়ে কর্মবিরতীসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছিল শ্রমিকরা কিন্ত শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ,সরকার ও মালিক পক্ষ ত্রি-পক্ষীয় বৈঠক হয়ে সেখানে ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের এ দাবীর মধ্য থেকে গুরুত্বপুর্ন কিছু দাবী অচিরেই মেনে নেবে বলে একটি সমোঝোতা চুক্তি করে মালিক পক্ষ।এটা মোংলা আঞ্চলিক শাখার নেতৃবৃন্দের ভাষ্য। মালিকদের দেয়া ৪৫ দিনের প্রতিশ্রুতি প্রায় বছর পেরিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন কর্ণপাত নেই নৌযান মালিকদের। তিন দিনের চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত সরকার বা মালিক পক্ষ থেকে দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাসের কোন বানী এখনও আসেনী বলে জানায় মোংলা লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু। তাই ন্যায্য ১৫ এবং ১১ দফা দাবীতে অনড় রয়েছে নৌ-যান শ্রমিকরা।সারা দেশে প্রায় ৩ লক্ষ নৌ-শ্রমিক তাদের যার যার অবস্থানে থেকে কর্মবিরতী পালন করছে। যার ফলে এ মুহুর্তে মোংলা বন্দর চ্যানেলের পশুর নদীতে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪শ’ লাইটারেজ জাহাজ অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করছে।এদিকে মোংলা সমুদ্র বন্দরে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বহীরনোঙ্গর ও হাড়বাড়িয়ায় ১০ টি বানিজ্যিক জাহাজ পন্য খালাসের অপেক্ষায় অবস্থান করছে। কর্মবিরতীর কারনে বন্দরের সকল জাহাজে পন্য খালাস-বোঝাই বন্ধ রয়েছে।মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে আজ দুপুরের পর ২টি জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে এবং পন্য বোঝাই ৩টি নতুন বিদেশী জাহাজর বন্দরে আগমনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল জনাব এম শাহাজাহান জানান, সারা দেশেই নৌ-বন্দর গুলোতে শ্রমিকদের কর্মবিরতী তারা অব্যাহত রেখেছে। তবে শ্রমিকরা বলছে তাদের ১৫ ও ১১ দফা দাবী যৌক্তিক আর মালিক পক্ষ বলছে অ-যৌক্তিক। তাদের দাবীর মুখে দেশের নৌ-বন্দরগুলো সাময়ীক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বন্দরের বানিজ্যিক জাহাজের পন্য খালাস করতে না পারলে বন্দর ব্যাবহারকারীসহ আমদানী কারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। তবে শ্রমিকদের দাবীর বিষয়টি উভয় পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান মহোদয়।