মোঃ সোহাগ হাওলাদার, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার বেতাগীতে শুরু হচ্ছে সনাতন। ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। শেষ মূহূর্তে উপজেলায় ৩৫ টি পূজামন্ডপে চলছে শিল্পীর শেষ আঁচর। নির্ভিঘ্নে দুর্গা পূজা উৎসব উদযাপনের জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি মূলক সভা করেছেন। মহামারি করোনার কারণে এবারের দূর্গাপূজায় আমেজ নেই।
এবারের পুজোটা সত্যিই একেবারেই অন্যরকম, আকাশে-বাতাসে পুজোর হাওয়া চললেও, কাশবনে কাশফুলে দোল লাগলেও, মনের মধ্যে করোনা আতঙ্ক যেন এক পাশে সরিয়ে রেখেছে পুজো র মুডকে। সব পুজোই হচ্ছে করোনা বিধি মেনে। করোনার কথা মাথায় রেখেই পুজো মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে । সামাজিক দুরত্বের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে
সরেজমিন দেখা গেছে, অনেক মন্দিরেই প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এ বছর বেতাগী উপজেলায় ১টি পৌরসভা সহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ৩৫টি পূজামন্ডপে চলছে দুর্গাপূজার আয়োজন । ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা। শেষ হবে ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতীমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি নির্বাহী অফিসার মো, সুহৃদ সালেহীন বলেন,‘শান্তিপূর্ণ পূজা অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাত্বিক আচারের মাধ্যমে পূজার আয়োজন সীমাবদ্ধ রাখা হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার তাদের সার্বিকভাবে সহযোগীতার পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও সহযোগীতা করে আসছে। এবারেও সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছে।
একই সাথে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার উৎসব সীমিত থাকলেও আগামীতে আবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্বীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন , নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। টহলে থাকবে আইন শৃংখলা বহিনী। কোন ধরণের বিশৃংখলা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে তাদের বির“দ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রশাসনের পক্ষে কোনোমন্দিরে স্থায়ী ভাবে পুলিশ ও আনসার থাকছেনা। তবে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। এ কারণে নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে আছে আয়োজক কমিটি।