২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাগাতিপাড়ায় প্রকৃত ভাতাভোগীর তালিকা তৈরিতে ইউএনও’র বিশেষ উদ্যোগ

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২০, ২০২০
বাগাতিপাড়ায় প্রকৃত ভাতাভোগীর তালিকা তৈরিতে ইউএনও’র বিশেষ উদ্যোগ

Sharing is caring!

খাদেমুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
প্রকৃত মাতৃত্বকাল ভাতাভোগীর তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল। ভাতাভোগী নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন সময় অনিয়মের মাধ্যমে ভিজিডি, বয়স্ক, মাতৃত্বকালসহ বিভিন্ন ভাতাভোগী নির্বাচন, অযোগ্য ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা, পক্ষপাতিত্ত্বসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অনিয়ম বন্ধে সরেজমিনে মাঠ পর্যায় থেকে উন্মুক্তভাবে যাচাই-বাছাই করে ভাতাভোগী নির্বাচন করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন জানান, সম্প্রতি আবেদনকৃতদের ইউনিয়ন পর্যায়ে সরাসরি আবেদন যাচাই-বাছাই করে যোগ্য ও উপযুক্ত ভাতাভোগীকে নির্বাচন করার কাজ শুরু হয়েছে। একাজ তদারকি করছেন ইউএনও প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল। এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বরদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাতাভোগী নির্বাচন করা হতো।

 

এদিকে সোমবার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদে ভাতাভোগী নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলে। সেখানে ইউএনও প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আঃ হাদী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শনিবার বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিকভাবে একাজের উদ্বোধন করা হয়। সেখানে উন্মুক্ত বাছাই শেষে আবেদনকারিদের মধ্যে ৭২ জনের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে ৫০ জনকে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত করা হবে। এছাড়াও রোববার পাঁকা ইউনিয়নে যাচাই বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয় ।

 

উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা কর্মসূচীর আওতায় এ উপজেলায় মোট ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে ৫০ জন করে মোট ২৫০ জন নারীকে মাতৃত্বকাল ভাতা দেওয়া হবে। ভাতাভোগীরা প্রত্যেকে দুই বছর ধরে মাসে ৮০০ টাকা করে ভাতা সুবিধা পেয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল জানান, প্রকৃত দুঃস্থ মাতৃত্বকাল ভাতাভোগী নির্বাচনের লক্ষ্যে সরেজমিনে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর আগে অনিয়ম করে যারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা এবার সে সুযোগ হারাচ্ছেন।