মোঃরুহুল আমিন,স্টাফ রিপোর্টার (নীলফামারী):
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭ নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন'র সরকার পাড়া গ্রামে সেই ঘানিটানা সইমুদ্দিন(৭০)কে গরু কিনে দিলেন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'অংকুর ইন্টারন্যাশনাল'।
আজ (১৪ অক্টোবর) বুধবার দুপুর ১ টায় গরুর অভাবে ২০ বছর থেকে নিজেই ঘানি টেনে তেল উৎপাদনকারী সেই সইমদ্দিন ইসলামকে একটি গরু এবং ঘানি মেরামতের জন্য নগদ টাকা দিয়েছেন অংকুর ইন্টারন্যাশনাল।
এসময় ডু সামথিং ফাউন্ডেশন'র স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহিম বাবুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন,ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ জনাম সিরাজুল ইসলাম,৭ নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন'র চেয়ারম্যান আতাউর রহমান,দেশ বানী পত্রিকার সম্পাদক রুবেল পারভেজ,চলো স্বপ্ন ছুঁই সংগঠনের আহবায়ক মোহাম্মদ মিশুক আহম্মেদ বর্ষ,অংকুর ইন্টারন্যাশনাল ও ডু সামথিং এর নেতৃবৃন্দ সহ মিডিয়া সাংবাদিক রা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ব্যাক্তি জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের বাবা। ছেলেরা যে যার সংসার নিয়ে টানা পোড়া, ৩ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে ছোট মেয়ে নিলুফা আক্তার সে জলঢাকা সরকারী ডিগ্রী কলেজে ডিগ্রী ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত। এতিম নাতি মনির হোসেন (১২), স্ত্রী নুর নাহার (৫৫) সহ ৪ সদস্যের সংসার তাঁর।
গরু ছাড়াই তৈলের ঘানি টানার ব্যাপারে জানতে চাইলে সইমদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত সরিষার তৈলের ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসার শুরুতে ১টি গরু ছিলো। সেই টানতো তৈলের ঘানি। ১৫ বছরের মাথায় গরুটি মারা যায়। সে থেকে গরু কেনার সামর্থ না থাকায় নিজেই ঘানি টানছি। ভোর ৩ টায় ৫ কেজি সরিষা ঘানিতে দিলে সকাল ১১টার দিকে তৈল মাড়াই শেষ হয়। তিনি আরো বলেন,আমার এই কস্ট দেখে গরু কিনে দেওয়ায় 'অংকুর ইন্টারন্যাশনাল' সংগঠন সহো যারা আমাকে সাহায্য করলেন সবাইকে ধন্যবাদ ।
প্রকাশ কর্তৃক : ‘এডভানসড প্রিন্টং’ক-১৯/৬, রসুলবাগ,ঢাকা। মহাখালী ঢাকা হতে মুদ্রিত এবং ১৭৮, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা-১২১৭ হতে প্রকাশিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ অফিসঃ ৩৮৯ ডি আই.টি রোড (৫ম তলা) পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা - ১২১৯। ইমেইল: abhijug@gmail.com