Sharing is caring!
সোহাগ হাওলাদার,জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনার সদর ঢলুয়া ইউনিয়নের আপন দুলাভাই বিরুদ্ধে আবদুল্লাহ (৮) নামের শিশু শ্যালককে হত্যা করে ডালভাঙা এলাকার বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
একই পদ্ধতিতে আফসান নামের দেড় বছরের অপর শিশু শ্যালককে হত্যা চেষ্টার সময় স্থানীয়রা ঘাতক মোসলেম (২২) নামের ওই দুলাভাইকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় শিশু আফসারকে জিবীত উদ্ধার করা হয়। মোসলেমকে আটক করে শেকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাকাসী। খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মোসলেম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
(০৮ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরগুনার সদর ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা এলাকার বিষখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর বাবা ছগীর জানান, তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর আবদুল্লাহ ও আফসানকে তার মেয়েরা লালন পালন করতো। সপ্তাহখানেক আগে তার জামাতা মোসলেম বরগুনায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর বৃহষ্পতিবার বিকেলে ডালভাঙা এলাকায় নানা শ্বশুড়বাড়ি বেড়াতে এসে তার দুই শিশু ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় মোসলেম। সন্ধ্যায় তিনি খবর পায়ন তার বড় ছেলে আবদুল্লাহকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। ছোট ছেলে আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যা চেষ্টার সময় স্থানীয়রা মোসলেমকে হাতে নাতে আটক করে।
শিশু আবদুল্লাহকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে মোসলেম বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম। কিন্ত আমার স্ত্রী ও শ্বশুড় নিয়ে যেতে দেয়নি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি শ্যালক আবদুল্লাহ ও আফসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেড়াতে নিয়ে যাই। প্রথমে আবদুল্লাহকে দীঘিতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যা করে লাশ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেই। এরপর আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করি।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘাতক মোসলেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।