২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০১৯
কক্সবাজার পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

Sharing is caring!

 

মোহাম্মদ ফায়েদ ককসবাজারঃ
“এসো মানুষের জন্য কাজ করি”-এই শ্লোগানে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই প্রতিষ্ঠা হওয়া কক্সবাজার পরিবেশ, মানবাধিকার ও উন্নয়ন ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ।

মাত্র ১৮ জন তরুণ উদ্যোক্তার মাধ্যমে শুরু হয়ে বর্তমানে এ ফোরামের অধীনে সমগ্র বাংলাদেশে ১৬০০ জন (কেন্দ্রে ১২০, তৃণমূলে ১৫০০) এবং বিদেশে ১০ এর অধিক তরুণ পরিবেশ ও মানবাধিকার কর্মী নিজস্ব ফান্ডে এ ফোরামে কাজ করছে
বর্তমানে ফোরামের কার্যক্রম গণচীন,কাতার,
মায়ানমার,সৌদি আরব প্রভৃতি দেশে চলমান রয়েছে।

বর্তমানে সংস্থাটি ১টি ট্রাস্টি বোর্ড, ৩টি কমিশন,১টি নির্বাহী কার্যালয়, ১১ টি সেকশন,৩৩ টি শাখা,১১ টি অফিস,৩৩টি বিভাগ,২২ টি সেল,১ টি ডেভেলপমেন্ট সেক্টর, ৪৬ টি ফোরাম সমন্বয়ে ১১টি লক্ষ্য এবং ৭১ টি কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে।বর্তমানে ফোরামটির ৪টি ফরেন ডেস্ক কাজ করছে।

তৃনমূল পর্যায়ে মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণ,পরিবেশগত সংকট নিরসন,জলবায়ু পরিবর্তন রোধ,গণসচেতনতা তৈরি, টেকসই উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ে গত ৪ বছরে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা উপকরন বিতরন,ঈদ বস্ত্র,শীতবস্ত্র বিতরণ,বৃক্ষরোপন অভিযান,সভা,
সেমিনার,সমাবেশ,ক্যাম্পেইন প্রভৃতি আয়োজন করেছে।এছাড়াও বন্যা,জলোচ্ছ্বাস,ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম,পরিদর্শন,প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বর্তমানে সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,
কউক,পৌর কর্পোরেশন,সিভিল সোসাইটি,এনজিও,
আইএনজিও,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন,রাজনৈতিক সংগঠন প্রভৃতি ফোরামে পরিবেশ, মানবাধিকার ও উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ২৬ আগস্ট রেপিড এ্যকশন নিয়ে দেশ এবং বিদেশে এ ব্যাপারে সমগ্র বিশ্বের এনজিও এবং গণমাধ্যম সমূহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ফোরামটি।

বর্তমানে কক্সবাজার পরিবেশ, মানবাধিকার ও উন্নয়ন ফোরাম জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ,গ্লোবাল সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কফোর্স এলায়েন্স,দক্ষিণ আফ্রিকার এনজিও প্ল্যাটফর্ম পালস,ব্রিটিশ সিভিল সোসাইটি মিডিয়া,এ্যালায়েন্স ম্যাগাজিন,চিলির সেলাভিপ,আন্তর্জাতিক পরিবেশ ফোরাম,ক্লিন আপ দ্যা ওয়ার্ল্ড,নামাতি নেটওয়ার্ক,ইন্টারনেট সোসাইটি, ইয়ুথ নেটওয়ার্ক,গ্লোবাল ফান্ড এডভোকেট নেটওয়ার্ক,অনলাইন সেন্টার নেটওয়ার্ক,রেচেল নেটওয়ার্ক, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং এসোসিয়েশন,এপিএ,আমেরিকান কিডনি ফান্ড,গ্লোবাল গিবিং, ন্যাশনাল ফান্ড ফর ওয়ার্কফোর্স সল্যুশন,ওয়ার্ল্ড ভিশন এডভোকেসী, আমেরিকান ফাউন্ডেশন ফর দ্যা ব্লাইন্ড,ওয়াইডিএএন, অস্টিন ডিজাস্টার রিলিফ নেটওয়ার্ক, হেলপস্টোন, হানো, সিএফআরই, গিবিংওয়ে,ডেভেলপমেন্ট এইড, সেন্টার ফর সোশ্যাল ওয়ার্ক,বাংলাদেশ সিএসও এনজিও প্রসেস, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা রেসপন্স প্ল্যাটফর্ম, কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম, কক্সবাজার সিবিও এনজিও কোয়ালিশন ফর হিউম্যান রাইটস এর অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান অথবা নেটওয়ার্ক হিসেবে যৌথভাবে কাজ করছে।

সংগঠনটি রোম সিভিল সোসাইটি ডিক্লারেশন এবং অার্থ সেন্টার এর এনডোর্সার।

অদূর ভবিষ্যতে সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী বিশেষত ৫৭ টি উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া।

৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্থাটির প্রধান পরিচালক মোঃ ইলিয়াছ মিয়া সংস্থাটির ট্রাস্টি বোর্ড, উপদেষ্টা পরিষদ,পরিচালনা পর্ষদ,সমন্বয়কবৃন্দ,সেক্রেটারীয়েট,
প্রতিনিধিবৃন্দ,এ্যাম্বাসেডরবৃন্দ,ম্যানেজার,এসোসিয়েট,সদস্য,অনলাইন একটিভিস্ট ও সকল শুভানুধ্যায়ীদের কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

তিনি সকল পর্যায়ে পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য এবং ব্যাক্তি,সমাজ,রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তা চর্চার আহবান জানিয়েছেন। তিনি আগামীতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণভিত্তিক দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।