২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হাবিপ্রবির দুই ছাত্র হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত লীগের ছয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে আদালত (ভিডিও)

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২০
হাবিপ্রবির দুই ছাত্র হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত লীগের ছয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে আদালত (ভিডিও)

Sharing is caring!

৭ লাখ লিটার তেল চুরির মূল হোতা আব্দুল্লাহ রশিদ ধরা ছোঁয়ার বাইরে

২০১৭ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানীর চাঁদপুর ডিপোতে ৭ লাখ লিটার চোরাই তেল খালাস ও বিক্রির ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিলো দেশজুড়ে। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় কয়েকজন কর্মচারিকে বরখাস্ত করা হলেও চক্রের মুল হোতা তৎকালিন ডিপো ইনচার্জ আব্দুল্লাহ রশিদ রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি আব্দুল্লাহ রশিদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলেও তিন বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। আলোচিত সেই ঘটনার গোপনীয় তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে এসএটিভির হাতে। এ ব্যাপারে কোম্পানীটির বর্তমান কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি না হলেও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, এমন দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণেই রাষ্ট্রিয় তেল চুরির ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।

২০১৭ সালের পয়লা মে রাতে যমুনা অয়েল কোম্পানীর চাঁদপুর ডিপোর জেটিতে নোঙর করে এমভি ইরাবতী নামের একটি অয়েল ট্যাংকার। ডিপোর ৮ নম্বর ট্যাংকে নামিয়ে রাখা হয় ৭ লাখ লিটার ডিজেল। পরে বিভিন্ন ভাউচারের মাধ্যমে কোম্পানীর নিবন্ধিত ডিলারদের মাধ্যমেই বিক্রি করা হয় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার মুল্যের ওই তেল। প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক হলেও পুরোটাই ছিলো অবৈধ। কারণ বিপুল পরিমান এই তেলের কোন হিসেবই নেই কোম্পানীর নথিতে। রাষ্ট্রিয় অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে চোরাই তেল বিক্রির এই ঘটনাটি ছিলো নজিরবিহিন। কারণ অনুসন্ধানেও উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার আদ্যপান্ত। কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তৎকালিন ডিপো ইনচার্জ আব্দুল্লাহ রশিদকে ঘটনার মুল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে এমন কর্মকান্ডকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু গেল তিন বছরে এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।

এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সেই আব্দুল্লাহ রশিদ এখন পদন্নতি পেয়ে ঢাকার লিয়াজো অফিসের ক্যামিকেল বিভাগের এজিএম হয়েছেন। চাঁদপুরের ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে কোম্পানীর তৎকালীন এমডিসহ অন্য কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলচুরি বন্ধে বাইরের সিন্ডিকেটের চেয়ে রাষ্ট্রিয় কোম্পানীগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারিদেরই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে সবার আগে। প্রতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যমুনা অয়েল কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান এমডি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।