২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০১৯
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

Sharing is caring!

 

পুনম শাহরীয়ার ঋতু: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য রেকর্ড পরিমাণ ৬ হাজার ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ জাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে বছরের বাজেটের তুলনায় ৫ হাজার ৩৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭৬২ কোটি ৮২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে এক হাজার ৩৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

সোমবার দুপুরে শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে বিশাল ওই বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বাজেট বক্তব্যে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয় ধরা হয়েছে কর খাত থেকে ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রেইট থেকে ৯৪ কোটি ৯১ লাখ, ফিস ২ কোটি ৫৪ লাখ, ইজারা থেকে ৫ কোটি ৭০ লাখ, অন্যান্য খাতে ৭ কোটি ৮৭ লাখ, নির্মানাধীন ভবনের দোকান বরাদ্ধ থেকে ১৮ কোটি, উন্নয়ন খাতে ১১ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশী আয় ধরা হয়েছে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প সমূহ থেকে। এ খাত থেকে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৩৪২ কোটি ৩০ লাখ ৩১ হাজার টাকা। পানি শাখা থেকে ১৮ কোটি ২৭ হাজার, সরকারী উন্নয়ন তহবিল থেকে উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী ১০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

মেয়র বলেন, ব্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বরাদ্ধ রাখা হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এ টাকায় রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ড, হাটবাজার, কবরস্থান, শৌচাগার, আঞ্চলিক কার্যালয়, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মান করা হবে। এছাড়াও মেয়র ও কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ৫৩ কোটি স্বাস্থ্য, পয়:প্রনালী খাতে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি, কনজারভেন্সী খাতে সাড়ে ৫৫ কোটিসহ জেনারেল এসেসমেন্ট, শিক্ষা ও ক্রীড়া, বিভিন্ন ক্রয়, পানি সরবরাহ ইত্যাদি খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।

বাজেটে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা ৩২৯.৪০লাখ টাকা, কর্মচারী/কর্মকর্তাদের বেতনভাতা ১৭০০লাখ টাকা রাখা হয়েছে। তবে মেয়রের কোন বাড়ি ভাড়া না থাকলেও কাউন্সিলরদের অফিসভাড়া বাবদ রাখা হয়েছে ৭২.৯৬লাখ টাকা। বাজেটে মশক নিধনে ৭৫লাখ টাকা, কুকুর নিধনে ১০লাখ টাকা রাখা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পুরোদমে উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। ২০২০ সালের মধ্যে গাজীপুর সিটির উন্নয়ন কার্যক্রম দৃশ্যমান হবে। দায়িত্ব পালনের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে সকলের সহযোগিতায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়েছি। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাজীপুরের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রাহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূইয়া, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অর্থ ও বাজেট সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আব্বাস আলী খোকন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলরবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র নাগরিকবৃন্দ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, গাজীপুরকে সবার জন্য বসবকাসযোগ্য একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে চাই। সড়ক বা রাস্তায় কোন দোকানপাট বসতে দেয়া হবে না। হকারদের জন্য ১০টি হকার মার্কেট করে দেয়া হবে। যারা রাস্তা বা ড্রেনের জন্য জমি দেবে তাদের হোল্ডিং টেক্স ফ্রি করে দেয়া হবে। তাদের নামও লিখে বা সংরক্ষণ করে রাখা হবে।ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের বেকার ব্যক্তি থাকলে তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হবে। নতুন অর্থ বছরে কোন টেক্স বাড়ানো হয়নি। আমি আমার সততা থেকে এক ইঞ্চি নড়ব না। কেউ অন্যায় বা দূর্নীতি ও অনিয়ম করে পার পাবে না।