২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বদরগঞ্জে তিন লাখ টাকা নিয়ে ভাগিনার সাথে প্রতারণা

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
বদরগঞ্জে তিন লাখ টাকা নিয়ে ভাগিনার সাথে প্রতারণা

Sharing is caring!

 

 

নার্গীস ইসলাম,বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :

দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিলেও বাস্তবে তার কাছে পত্রিকার কোনো পরিচয়পত্র নেই। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়ে প্রতারণা করাই তার পেশা।

 

সরকারি বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে মিথ্যা বন্ধুত্বের গভীর সম্পর্ক দেখিয়ে চাকুরি দিবেন বলে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক জাহিদুল হক (জাহিদ সরদার)।

 

তার স্বভাবগত প্রতারণার ফাঁদেও বাদ পরেননি ভাগিনা। চাকুরি পাইয়ে দেবার কথা বলে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে ২ বছর থেকে করছেন মিথ্যাচার আর টালবাহানা।

 

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার জামুবাড়ি চাঁদকুঠির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে প্রতারক জাহিদ (৫৭)।

 

ধোকাবাজ জাহিদ মিথ্যা কথা শুনিয়ে তার ভাগিনা রোস্তম আলীর কাছ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা নেন। কিছুদিনের মধ্যে রোস্তম আলীর ভাগিনী জামাইকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি পাইয়ে দিবেন বলে আশ্বাস্ত করেন জাহিদ।

 

কিন্তু মাসের পর মাস পেরুলেও জাহিদ চাকুরির কোনো ব্যবস্থা করতে পারেননি। নিরাশ হয়ে রোস্তম আলী টাকা ফেরত চাইলেই শুরু হয় মিথ্যাচার। আজ দিচ্ছি-কাল দিচ্ছি বলেন জাহিদ। ২ বছর পরেও টাকা ফেরত না পাওয়া রোস্তম আলী বাদি হয়ে বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

 

 

অভিযোগ কারী ভাগিনা রোস্তম আলী বলেন, অয় মামা হইলে হইবে কি, ওয় মানুষ নোহায়।

 

গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে সহজে মিশতেন প্রতারক জাহিদ। প্রথমত দয়া এবং আদর্শের রুপ দেখাতেন। মানুষের ঘরের বা হাড়ির খবর নিতেন।

 

পরিবারে কেউ চাকুরি সন্ধানী থাকলে তাদের বাড়িতে পায়ের উপর পা দিয়ে বসে শোনাতেন কত জনের সাথে তার কত গভীর সম্পর্ক। কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রির পিএস থেকে থানার ওসি পর্যন্ত তার হাতে, বলে মিথ্যাচার করতেন।

 

এরপর শুরু হত দর কষাকসি। একেক চাকুরির একেক রেট। যেন চাকুরির ফেরিওয়ালা তিনি, এসেছেন চাকুরি বিক্রি করতে। চাকুরির ধরণ অনুযায়ী ২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেন এই প্রতারক।

 

এই বিষয়ে জনকন্ঠ পত্রিকার সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জাহিদুল হক নামে এক ব্যক্তি আমাদের কাছে নিউজ পাঠানোর অনুমতি চাইলে আমি মৌখিক তাহাকে নিউজ পাঠাতে বলি। সেই কারনে তাকে কোন আইডি কার্ড বা অনুমতি পত্র দেওয়া হয়নি। তার সম্পর্কে বিভিন্ন ভাবে খোজ খবর নেওয়া হলে জানতে পারি সে একজন খুবেই ধ্রুত প্রতারক। বদরগঞ্জে জনকন্ঠের কোন প্রতিনিধি নেই।

 

আমার জানা মতে অফিস কর্তৃক বদরগঞ্জে কোন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কে বা কাহারা জনকন্ঠের প্রতিনিধির পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাস মুলুক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তা আমাদেরকে টেলিফোনে জানানো হয়েছে। প্রমানসহ লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 

 

নারী মাংস লোভি এই প্রতারক একের পর এক মেয়েই ইজ্জত নিয়ে খেলেছেন। নানা প্রলভন দেখিয়ে বিয়েও করেছেন ৩ এর অধিক।
এবিষয়টি নিয়ে বদরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মিমাংসার আলোচনায় বসা হলে জাহিদুল হক চাকরির জন্য টাকা নিয়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

 

এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগে বিষয়টি নিয়ে বসে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সমাধান করতে না পারলে আইনি মাধ্যমে আমি দুপক্ষকে ডেকে সব কথা শুনে একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।