Sharing is caring!
জামরুল ইসলাম রেজা, ছাতক প্রতিনিধিঃ-
ছাতকে ছেলেধরা সন্দেহে ৩৫ বছর বয়সী এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় থানায় নিয়ে আসে একদল লোক। পুলিশ আহত ওই ব্যক্তিকে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মানসিক প্রতিবন্ধি বলে উল্লেখ করেন। ছেলে ধরা সন্দেহে ছাতক সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় জনতা আটক করে বেধড়ক পিটুনী দেয়। এসময় ওই ব্যক্তি কোন কথা বলতে পারছিলনা। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তিকে থানায় এনে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তিটি মানষিক রোগীর পাশাপাশি বাকপ্রতিবন্ধ। সোমবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে সুনামগঞ্জ জেল-হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ছেলেধরা সন্দেহে উপরেই কোন ফৌজদারি অপরাধ না করতে শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থানা পুলিশের উদ্যোগে মাইকিং করে প্রচার-প্রচারনা করা হয়েছে। থানার এ মাইকিং প্রচারনায় বলা হয়, সম্প্রতিক সময়ে দেশে ছেলেধরা গুজব রটিয়ে গণপিটুনির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কাউকে গণপিটুনি বা কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধ করা যাবে না। এ ধরনের জরুরী প্রয়োজনে থানা পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ছেলেধরা আতংক একটি গুজব। আর শুধুমাত্র গুজব রটনায় কারো কোন ফৌজদারি অপরাধ গ্রহযোগ্য নয়। জনসাধারণের সচেতনতা কামনা করেই বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।