২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

নগরীর লালদিঘীর পাড়ে ভাই ভাই হোটেলে নারী ভিকটিমদের বন্ধীশালা

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
নগরীর লালদিঘীর পাড়ে ভাই ভাই হোটেলে নারী ভিকটিমদের বন্ধীশালা

Sharing is caring!

 

 

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট নগরির কয়েকটি আবাসিক হোটেল মিনি পতাতালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে স্যোসাল মিডিয়ায় এমন তথ্য প্রচারিত হচ্ছে।

 

অনুসন্ধানে শুধু পতিতালয় নারী বিক্রি ও বন্ধী রেখে নারকীয় পাশবিক নির্যাতনের বিরল তথ্য। নারী বন্ধীশালা ও খরিদ বিক্রির অনেকগুলো স্পটের মধ্যে শীর্ষে নাম উঠে এসেছে নররীর লালদিঘীর পারস্থ আবাসিক হোটেল ভাই ভাই।

 

এই করোনাকালেও এখানে জমে কামুকদের আড্ডা। পুলিশ, বাংসাদিক (সাংবাদিক) যুব বুড়ো, ব্যবসায়ী শিক্ষার্থী সকলই যায় এই মধুকুঞ্জের মধু আস্বাদনে। পাশাপাশি নোটও পান পুলিশ বাংসাদিক ও স্থানীয় চাঁদাবাজ-বখরাবাজরা।

 

 

এক সময় এটির নাম ছিল হোটেল সুপার। পরিচালক পরিবর্তনে নাম হয়েছে হোটেল ভাই ভাই। নামে আবাসিক হলেও এখানে কেউ থাকে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুসলিয়ে ও অপহরণ করে নিয়ে আসা কিশোরী-তরুণী ও দালাল ছাড়া এই হোটেলে কোন বর্ডারই নেই।

 

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, দেশের বিভিন্নস্থান থেকে চাকরি দেওয়ার,বিয়ে করার প্রলোভনে ফুসলিয়ে এনে অনেক তরুণী ও যুবতীদের এই হোটেলে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

 

তালাবন্ধী করে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভাড়া দেহদানে বাধ্য করা হয় তাদের। বিভিন্ন স্থান থেকে অপহৃত ও অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়েদের রেখে চড়া দামে খদ্দেরদের কামনা পূরণে দেওয়া হয়ে থাকে।

 

মদ্যপ ও কামুক টাইপের কিছু সাংবাদিক পুলিশও প্রতিদিন এই হোটেলে গিয়ে সময় কাটান। টাকার পাশাপাশি অপ্রাপপ্ত বয়েসী মেয়েদে ভোগ উপহারও দেওয়া হয় তাদেরকে। পুলিশের লাইনম্যান প্রতিদিন গিয়ে বখরা নিয়ে যায় এই হোটেল থেকে।

 

অনলাইন ও ভুঁইফোড় মিডিয়া কর্মীদের একটি তালিকা রয়েছে হোটেল ম্যানজারের কাছ। তালিকা অনুযায়ী সাপ্তাহিক ও মাসিক অগ্রিম বখরা পেয়ে থাকেন তারা।

 

সূত্রমতে নিখোঁজ বা অপহৃত মেয়েদের খোজ নিলে এই হোটেলেই তাদের পাওয় যাবে। তবে পুলিশ ম্যানেজ থাকায় এখানে খোঁজ নেওয়া হয় না কোনদিন।

 

লেখালেখিতে মাঝে-মধ্যে আইওয়াশ অভিযানে আটকা পড়লে বয়স ১৮+ দেখিয়ে জরিমানা দিয়ে ছাড়িয়ে পুনরায় নিয়ে যাওয়া হয় ওই হোটেলে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান অনেক সময় কিশোরী ও তরুণীদের চোখ বেঁধে গাড়িতে করে এই হোটেলে নিয়ে আসা হয় এবং একই কায়দায় চোখ বেঁধে তাদের বের করে অন্যত্র পাচার করা হয়।

 

পুলিশ ও নাম ধারী সাংবাদিক ম্যানেজ থাকায় দিনদুপুরে নারীদের ওঠা-নামা করালেও বাঁধা দেওয়ার সাহস করোর নেই। প্রতিবাদ করলেই নারী নির্যাতন মামলার হুমকি।

 

নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের নিরাপদ স্পট সিলেট নগরীর লালদিঘীর পারস্থ এই ভাই ভাই আবাসসিক হোটেল। হোটেল নামের এই পতিতালয় ও পাশবিক নির্যাতনে এই সেলটি ভাড়ায় রেখে পরিচালনা করেন নগরীর মাছিম পুরের দিলাল মিয়া।